যুদ্ধ হলে কারা থাকবে ভারতের পাশে? প্রতিবেশীদের তালিকা উন্মোচিত!

সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১০০ ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত সামরিক সংঘাত শান্ত হলেও পাকিস্তানের অতীত আচরণ ইঙ্গিত দেয় যে তারা যেকোনো সময় ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক হতে পারে। এই সংঘাতে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের ১১টি বিমানঘাঁটি ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে, যার ফলে পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য হয়। তবে, যুদ্ধ কেবল যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, কূটনৈতিক মঞ্চেও লড়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভুটান ও নেপাল ভারতের ঐতিহাসিক মিত্র হিসেবে কূটনৈতিকভাবে সমর্থন দিতে পারে, যদিও তাদের সামরিক সক্ষমতা সীমিত। ভুটান ভারতের উপর নির্ভরশীল এবং পহেলগাম হামলার সময় নেপাল ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করেছিল। আফগানিস্তানও তালেবান ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার কারণে ভারতের প্রতি ঝুঁকছে, যা ভারতের জন্য কৌশলগত সুবিধা হতে পারে।

অন্যদিকে, চীন ও মালদ্বীপ ভারতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারে। চীন সর্বদা পাকিস্তানের পক্ষে থেকেছে এবং সীমান্ত বিরোধের কারণে ভারতের সঙ্গে তার সম্পর্ক উত্তপ্ত। মালদ্বীপের বর্তমান সরকার চীনের প্রতি ঝুঁকছে, যা ভারতের জন্য প্রতিকূল। শ্রীলঙ্কা অর্থনৈতিক সংকটের কারণে প্রকাশ্য সমর্থন দিতে অক্ষম হলেও কূটনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ বা সহায়ক হতে পারে। বাংলাদেশ, যিনি একসময় ভারতের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল, বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে, যা ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয়। যুদ্ধের পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক সমর্থনই ভারতের শক্তি হবে, এবং ভুটান, নেপাল ও আফগানিস্তানের মতো দেশগুলি এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *