রুশ গুপ্তচরদের মুখোশ খোলার সহজ কৌশল, লাটভিয়ার এমআইডিডি-র সতর্কবার্তা

রুশ গুপ্তচরদের মুখোশ খোলার সহজ কৌশল, লাটভিয়ার এমআইডিডি-র সতর্কবার্তা

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ইউরোপে উত্তেজনা তুঙ্গে। বাল্টিক অঞ্চলের দেশগুলি রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকির বিরুদ্ধে সতর্ক। সুইডেন, ফিনল্যান্ড ও নরওয়ে ইতিমধ্যে যুদ্ধ বা বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য নাগরিকদের নির্দেশিকা জারি করেছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৭ সালের মধ্যে রাশিয়া তার সেনাবাহিনীকে পুনর্গঠন করে ন্যাটোর প্রতিরক্ষা চুক্তির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে লাটভিয়ার প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থা (এমআইডিডি) একটি অভিনব গাইড প্রকাশ করেছে, যা নাগরিকদের শেখায় কীভাবে ‘পুতিনের গুপ্তচরদের’ চেনা যায়। এই প্রতিবেদনটি সেই গাইডের বিশদ বিশ্লেষণ ও এর তাৎপর্য তুলে ধরছে।

এমআইডিডি-র বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, রুশ গুপ্তচররা প্রায়ই সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশে থাকে, কিন্তু তাদের চেহারা ও আচরণে সন্দেহজনক কিছু লক্ষণ থাকে। যেমন, অগোছালো পোশাক, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার অভাব, সামরিক ধাঁচের ছোট চুল বা অতিরিক্ত গম্ভীর মুখভঙ্গি। এরা পর্যটক বা স্থানীয়দের মতো আচরণ করে না। প্রায়ই জঙ্গলে বা নির্জন এলাকায় থাকে, কিন্তু প্রকৃতির প্রতি কোনও আগ্রহ দেখায় না। এমআইডিডি সতর্ক করে বলেছে, এরা স্থানীয়দের কাছে অতিরিক্ত ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক প্রশ্ন করতে পারে, যা সন্দেহের জন্ম দেয়। এছাড়া, এদের কাছে প্রায়ই বিশেষায়িত প্রাথমিক চিকিৎসা কিট, রেডিও বা মানচিত্র থাকে, যা সাধারণ ক্যাম্পিংয়ের জন্য নয়, বরং গোপন অভিযানের জন্য উপযোগী।

এমআইডিডি জোর দিয়ে বলেছে, সন্দেহজনক কাউকে দেখলে নাগরিকদের নিজে হিরো হওয়ার চেষ্টা করা উচিত নয়। এজেন্সির বিবৃতি, “আপনি যদি লাটভিয়ার মাটিতে কোনও গুপ্তচর দলের সন্দেহ করেন, তবে নিজে তাদের মোকাবিলা করবেন না। পুলিশ, বিশেষ বাহিনী বা নিকটস্থ সামরিক ইউনিটকে তৎক্ষণাৎ জানান।” এই গাইড ইউক্রেনের অভিজ্ঞতার আলোকে তৈরি, যেখানে দেখা গেছে রুশ গোয়েন্দারা পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারদর্শী। লাটভিয়ার এই উদ্যোগ জাতীয় নিরাপত্তা জোরদারে নাগরিকদের সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *