পশ্চিমবঙ্গে চাকরিহারা শিক্ষকদের বিকাশ ভবন ঘেরাও আন্দোলন ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার শিক্ষকরা সাত দফা দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন, যার মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ায় চাকরি ফেরানোর দাবি প্রধান। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন শিক্ষকরা মূল ফটক ভেঙে ভিতরে ঢোকেন এবং পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান। পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। শনিবার নিউ টাউনের ইকো পার্কে তিনি বলেন, “শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে শিক্ষকদের লাথি মারা হল কেন? পায়ে হাত দিয়ে প্রণামের বদলে লাঠি? এই স্বেচ্ছাচারী সরকারের কুযুক্তি চলবে না।” তিনি সরকারকে কোর্টে গিয়ে ১৮ হাজার শিক্ষকের যোগ্যতা প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। বিধাননগরের তৃণমূল কাউন্সিলর সব্যসাচী দত্তের উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তিনি আন্দোলনকারীদের উস্কে দিয়ে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন।

এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা (DA) নিয়ে বিতর্কও সামনে এসেছে। কোর্টের নির্দেশে চার সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া DA-এর ২৫% পরিশোধ করতে হবে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় কর্মচারীরা ৫৫% হারে DA পান, যেখানে রাজ্যের কর্মচারীরা পান মাত্র ১৮%। এই ৩৭% ফারাক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ ছিল। দিলীপ ঘোষ বলেন, “সরকার আইন মানে না, টাকা নেই বলে এড়িয়ে যায়। যে সরকার তার সন্তানদের ভরণপোষণ করতে পারে না, তাদের ক্ষমতায় থাকার যোগ্যতা কী?” তিনি মানুষকে আলাদা আন্দোলনের পরিবর্তে সরকার পরিবর্তনের মাধ্যমে অধিকার আদায়ের আহ্বান জানান। এই ঘটনাগুলো রাজ্যের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিস্থিতির উপর নতুন প্রশ্ন তুলেছে।