১৪ জুন, ২০২৫-এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৭৯তম জন্মদিনের সঙ্গে মিলেছে ইউএস আর্মির ২৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এই দিনে ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি বিশাল সামরিক প্যারেডের আয়োজন হবে, যা ফ্ল্যাগ ডে হিসেবেও পালিত হয়। এই গ্র্যান্ড আয়োজনে ট্যাঙ্ক, হেলিকপ্টার, সৈন্য ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের পাশাপাশি ট্রাম্পের জন্মদিনের কেকও থাকবে। কিন্তু এই উৎসবের খরচ কত হবে? চলুন জেনে নিই।
এই প্যারেড ও উৎসবের জন্য আনুমানিক খরচ ২৫ থেকে ৪৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২১০০ থেকে ৩৭০০ কোটি টাকা), বলছেন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র স্টিভ ওয়ারেন। প্যারেডে ৬,৬০০ থেকে ৭,৫০০ সৈন্য, ১৫০টি সামরিক যান (এম১ অ্যাব্রামস ট্যাঙ্ক, স্ট্রাইকার, ব্র্যাডলি ফাইটিং ভেহিকল), ৫০টি হেলিকপ্টার এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিমান বি-১৭ ও পি-৫১ মাস্টাং-এর ফ্লাইওভার থাকবে। সৈন্যরা জেনারেল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও কৃষি বিভাগের ভবনে থাকবেন, প্রত্যেকে প্রতিদিন একটি গরম খাবার, দুটি প্রস্তুত খাবার ও ৫০ ডলার অতিরিক্ত ভাতা পাবেন। “এই খরচ আমাদের সেনাবাহিনীর গৌরব প্রদর্শনের তুলনায় নগণ্য,” বলেছেন ট্রাম্প। তবে, ২০১৮ সালে ৯২ মিলিয়ন ডলার খরচের কারণে একই ধরনের প্যারেড বাতিল হয়েছিল।

প্যারেডের পাশাপাশি সপ্তাহব্যাপী উৎসবে থাকবে সঙ্গীতানুষ্ঠান, প্যারাশুট জাম্প, সামরিক প্রদর্শনী ও কান্ট্রি মিউজিক তারকাদের পারফরম্যান্স। ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিসের কাছে প্যারেড ও সম্ভাব্য বিক্ষোভের জন্য পারমিট আবেদন জমা পড়েছে, যেখানে ২০,০০০-এর বেশি বিক্ষোভকারী অংশ নিতে পারে। ডেমোক্র্যাট সাংসদ স্টিভ কোহেন এটিকে “ট্রাম্পের অহংকারের প্রদর্শন” বলে সমালোচনা করেছেন। জন্মদিনের কেকের খরচ স্পষ্ট না হলেও, এই বিশাল আয়োজনের তুলনায় তা নগণ্য বলে মনে করা হচ্ছে।

ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, এই প্যারেড তাঁর জন্মদিনের জন্য নয়, বরং সেনাবাহিনীর ২৫০ বছরের ঐতিহ্য উদযাপনের জন্য। ২০১৭ সালে ফ্রান্সের বাস্তিল দিবসের প্যারেড দেখে তিনি এই ধরনের আয়োজনের প্রতি আকৃষ্ট হন। তবে, ভেটেরান গ্রুপ ভোটভেটস-এর মতো সংগঠন এটিকে অপ্রয়োজনীয় বলে সমালোচনা করেছে। এই প্যারেড ও উৎসব আমেরিকার সামরিক শক্তি ও ট্রাম্পের ব্যক্তিত্বের এক অভূতপূর্ব মেলবন্ধন হতে চলেছে।