রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সরসঙ্ঘচালক ড. মোহন ভাগবত বলেছেন, ভারত বিশ্বের প্রাচীনতম দেশ এবং এর ভূমিকা ‘বড় ভাই’-এর মতো। ভারত শান্তি, সম্প্রীতি এবং ধর্মের প্রচারে বিশ্বে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। জয়পুরের হরমাড়ায় রবিনাথ আশ্রমে শনিবার (১৭ মে, ২০২৫) এক সম্মান সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি পাকিস্তানের উপর ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক পদক্ষেপের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, বিশ্ব কল্যাণের জন্য ভারতের শক্তিশালী হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

মোহন ভাগবত বলেন, ভারতের ত্যাগের ঐতিহ্য সুপ্রাচীন। ভগবান শ্রীরাম থেকে ভামাশাহের মতো মহাপুরুষ, যাঁরা সমাজের জন্য সবকিছু উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের আমরা পূজা করি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ধর্ম ও শান্তির বার্তা পৌঁছে দিতেও শক্তির প্রয়োজন। পাকিস্তানে সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ভারত কারও প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে না, কিন্তু বিশ্ব প্রেম ও কল্যাণের ভাষা তখনই শোনে, যখন আপনার শক্তি থাকে। এটি বিশ্বের স্বভাব, যা পরিবর্তন করা যায় না।” তিনি আরও বলেন, ভারতের শক্তি এখন বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে।

তিনি বলেন, বিশ্ব কল্যাণ হিন্দু ধর্মের একটি মৌলিক কর্তব্য। ভারতের ঋষি ঐতিহ্য এই দায়িত্ব বহন করে এসেছে, যা আজ সন্ত সমাজ এগিয়ে নিচ্ছে। তিনি সন্ত রবিনাথ মহারাজের সঙ্গে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, তাঁদের করুণা ও প্রেরণা আরএসএস স্বয়ংসেবকদের সৎকাজের পথ দেখায়। এক্স-এ @SudarshanNewsTV
পোস্ট করেছে, ভাগবত অপারেশন সিন্দুরের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে বলেছেন, এই পদক্ষেপ দেশের স্বাভিমান ও সাহস বাড়িয়েছে।

অনুষ্ঠানে সন্ত ভাবনাথ মহারাজ ড. ভাগবতকে বিশেষভাবে সম্মানিত করেন। এতে আরএসএস প্রচারক, সন্ত সমাজ ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। ভাগবত আজ (১৮ মে, ২০২৫) পুষ্করে যাবেন, যেখানে তিনি বিশিষ্ট আইনজীবী জেপি রাণার পুত্রের বিয়েতে অংশ নেবেন। এই বিয়েতে রাজস্থান বিজেপি ও আরএসএস-এর কর্মীরাও উপস্থিত থাকবেন।

এই বক্তব্য অপারেশন সিন্দুরের প্রেক্ষাপটে ভারতের শক্তিশালী অবস্থান এবং বিশ্ব শান্তির জন্য এর ভূমিকাকে তুলে ধরে। তবে, এক্স-এ কিছু ব্যবহারকারী প্রশ্ন তুলেছেন, এই ধরনের বক্তব্য কি ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলতে পারে?