‘দেশের সংকটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকব’, শিবসেনা ইউবিটি সভায় উদ্ধব ঠাকরের বড় ঘোষণা

‘দেশের সংকটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকব’, শিবসেনা ইউবিটি সভায় উদ্ধব ঠাকরের বড় ঘোষণা

শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে) শনিবার (১৭ মে, ২০২৫) মুম্বাইয়ের দাদরে শিবসেনা ভবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা আয়োজন করে, যেখানে দলের বিধায়ক, সাংসদ এবং জেলা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। দলের প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’, সরকারের বিরুদ্ধে কৌশল এবং সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা হয়। উদ্ধব ঠাকরে জোর দিয়ে বলেন, “আমরা দেশের বিরুদ্ধে নই, কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে অবশ্যই।”

বৈঠকটি বন্ধ দরজার পিছনে অনুষ্ঠিত হয় এবং ক্যামেরা প্রবেশের অনুমতি ছিল না। সূত্রের খবর, উদ্ধব বলেন, “কাশ্মীর আমাদের ছিল, আছে এবং চিরকাল থাকবে। একদিন হয়তো বিজেপি থাকবে না, কিন্তু কাশ্মীর আমাদেরই থাকবে।” তিনি দেশের উপর সংকটের সময় প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “আমাদের মতাদর্শগত বিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু দেশের উপর সংকট এলে আমরা সবসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দাঁড়াই।” পহেলগামে ২২ এপ্রিলের আতঙ্কবাদী হামলার পর ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ এবং তার পরবর্তী ঘটনায় শিবসেনা ইউবিটি সরকারের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছে। এক্স-এ

@ShivSenaUBT_ পোস্ট করেছে, “উদ্ধবজির বক্তব্য স্পষ্ট—দেশ প্রথম, রাজনীতি পরে।”

‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে আলোচনায় উদ্ধব বলেন, “এই প্রস্তাব ঠিক আছে, তবে নির্বাচন স্বচ্ছ হতে হবে।” তিনি পরামর্শ দেন, প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীদের নির্বাচনী প্রচারে অংশ না নেওয়ার নিয়ম করা উচিত। বিজেপির উপর নিশানা সাধতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের জাহাজ ডুববে না। বিজেপির ওভারলোডেড জাহাজই ডুববে। অমিত শাহ তিনটি দলের প্রধান—নিজের, অজিত পাওয়ারের এবং শিন্ডের। ক্ষমতা এলে অহংকার করা উচিত নয়, আর গেলে দুঃখও করতে নেই। ক্ষমতা ফিরে পেতে পরিশ্রম করতে হবে।” এক্স-এ একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “উদ্ধব ঠাকরের এই বক্তব্য মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন জোয়ার আনবে। বিজেপি সাবধান!”

এই সভায় শিবসেনা ইউবিটি তাদের রাজনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছে। উদ্ধবের বক্তব্য জাতীয় স্বার্থের প্রতি তাঁর দলের প্রতিশ্রুতি এবং বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধিতার মধ্যে ভারসাম্য প্রকাশ করে। তবে, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর উপর তাঁর শর্তাবলী এবং বিজেপির সমালোচনা মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *