ব্রহ্মোস রপ্তানি: রাশিয়ার অনুমতি ছাড়া ভারতের পথ বন্ধ

ব্রহ্মোস রপ্তানি: রাশিয়ার অনুমতি ছাড়া ভারতের পথ বন্ধ

অপারেশন সিন্দুরে পাকিস্তানের চারটি বিমান ঘাঁটি—রাওয়ালপিন্ডি, জ্যাকোবাবাদ, ভোলারি ও স্কারদুতে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল ব্যবহার বিশ্বব্যাপী এর চাহিদা বাড়িয়েছে। ফিলিপাইন ২০২২ সালে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে এই ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয় করেছে, দ্বিতীয় চালান ২০২৬ সালে পৌঁছাবে। ইন্দোনেশিয়া (৪৫০ মিলিয়ন ডলার) ও ভিয়েতনাম (৭০০ মিলিয়ন ডলার) চুক্তির পথে, এছাড়া থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল, চিলি, মিশর, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত আগ্রহী। তবে, ভারত এককভাবে ব্রহ্মোস রপ্তানি করতে পারে না, কারণ এটি ভারত (৫০.৫%) ও রাশিয়ার (৪৯.৫%) যৌথ উদ্যোগ। রাশিয়ার অনুমতি ছাড়া কোনো চুক্তি সম্ভব নয়।

ব্রহ্মোস, ভারতের ডিআরডিও ও রাশিয়ার এনপিওএম-এর সহযোগিতায় নির্মিত, ২.৮-৩.০ ম্যাক গতি ও ২৯০ কিমি পরিসরের ক্ষেপণাস্ত্র। এটি স্থল, সমুদ্র, বিমান ও সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য, ‘ফায়ার অ্যান্ড ফরগেট’ নীতিতে কাজ করে এবং স্টিলথ প্রযুক্তির কারণে শত্রুর রাডার এড়ায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “ব্রহ্মোস ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তির প্রতীক।” বিশ্লেষকরা মনে করেন, চীনের দক্ষিণ চীন সাগরে আগ্রাসী নীতির কারণে এশিয়ার দেশগুলোর আগ্রহ বাড়ছে।

এই রপ্তানি ভারতের প্রতিরক্ষা রপ্তানিকে ২০২৬ সালের মধ্যে ৩ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে পারে, তবে রাশিয়ার সঙ্গে সমন্বয় জরুরি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *