অপারেশন সিন্দুরের পরও অপরিবর্তিত পাকিস্তানের সন্ত্রাসী নীতি, মুরিদকে ক্যাম্প পুনর্গঠন

অপারেশন সিন্দুরের পরও অপরিবর্তিত পাকিস্তানের সন্ত্রাসী নীতি, মুরিদকে ক্যাম্প পুনর্গঠন

ভারতের উপর হামলার জন্য কুখ্যাত সন্ত্রাসী হাফিজ সাঈদ এখন ভূগর্ভে থাকলেও, পাকিস্তানের সন্ত্রাসী নীতিতে কোনও পরিবর্তন আসেনি। ৭ মে অপারেশন সিন্দুরের অধীনে ভারতীয় বাহিনী মুরিদকে অবস্থিত জমাত-উদ-দাওয়ার (জেইউডি) সদর দফতর ধ্বংস করে দিয়েছিল, যা লস্কর-ই-তৈয়বার (এলইটি) ছদ্মবেশে কাজ করে। এই হামলা পাকিস্তানের জন্য একটি কঠোর বার্তা হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য চাঞ্চল্যকর—পাকিস্তান সরকার এখন এই সন্ত্রাসী ঘাঁটি পুনর্নির্মাণে জড়িয়ে পড়েছে। পাকিস্তানের ফেডারেল মন্ত্রী রানা তানভীর হুসেন জানিয়েছেন, আইএমএফ-এর ১৪০ কোটি ডলারের ঋণের অংশ ব্যবহার করে মুরিদকের মারকাজ তাইবা কমপ্লেক্স পুনর্গঠন করা হবে।

জেইউডি-র রাজনৈতিক শাখা পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লিগ (পিএমএমএল) শনিবার এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, সরকার মুরিদকের ধ্বংসপ্রাপ্ত সদর দফতর পুনর্নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছে। এই ঘাঁটি থেকেই হাফিজ সাঈদ ও তার স্লিপার সেল ভারতে হামলার ষড়যন্ত্র রচনা করত। ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার মতো বড় হামলার পরিকল্পনা এখান থেকেই হয়েছিল, যেখানে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল আজমল কাসাব ও ডেভিড হেডলি। পাকিস্তানের সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সন্ত্রাসীদের জানাজায় উপস্থিতি এবং সরকারের এই পদক্ষেপ স্পষ্ট করে যে, পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র এখনও এই সংগঠনগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে।

ভারত আইএমএফ-এর কাছে পাকিস্তানকে দেওয়া ১০০ কোটি ডলারের আর্থিক সাহায্য পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “পাকিস্তান সরকার আইএমএফ-এর অর্থ সন্ত্রাসী অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে ব্যবহার করছে। এটি পরোক্ষভাবে সন্ত্রাসে অর্থায়নের সমান।” মুরিদকে, লাহোর থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। হাফিজ সাঈদ ভূগর্ভে থাকলেও তার নেটওয়ার্ক এখনও সক্রিয়। স্থানীয় সাংবাদিক আলি জাফর বলেন, “সরকারের এই পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি।” পাকিস্তানের এই নীতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *