পাকিস্তানের শাসকদের কাঁপুনি, ভারতের অত্যাধুনিক অস্ত্রের ভয়ে ইরানের কাছে অস্ত্র ভিক্ষা

ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক হামলার ধাক্কায় পাকিস্তান এখনও কাতরাচ্ছে। এর মধ্যেই ভারত কঠোর হুঁশিয়ারি জারি করেছে: যদি পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে পুনরায় হামলার সাহস দেখায়, তবে এবার তার সম্পূর্ণ ধ্বংস অনিবার্য। ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের সূক্ষ্ম গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে ভারত সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। ফলে, ভারত নিরন্তর সামরিক মহড়ায় ব্যস্ত, যা পাকিস্তানি শাসকদের উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে। ভারতের কাছ থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির চিন ও তুরস্কের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছেন। আগামী সপ্তাহে শাহবাজ ইরান সফরে যাচ্ছেন, যেখানে তিনি অস্ত্র সাহায্যের জন্য অনুরোধ করতে পারেন।
ভারতের সামরিক মহড়া শাহবাজ ও মুনিরের জন্য সরাসরি হুঁশিয়ারি। যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করলে বা পুনরায় আগ্রাসনের চেষ্টা করলে ভারতের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান শুরু হবে, কারণ টার্গেট ইতিমধ্যেই নির্ধারিত। ভারত এবার ত্রিমুখী আঘাতের পরিকল্পনা করছে: প্রথমে পাকিস্তানকে ধ্বংস করা হবে, এর পাশাপাশি চিন ও তুরস্কের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে তাদেরও শিক্ষা দেওয়া হবে। পাকিস্তানে চিনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও অস্ত্রাগার ধ্বংস করা হবে, এবং তুরস্কের ড্রোন ও যুদ্ধজাহাজ নিশ্চিহ্ন করা হবে। ভারতের অত্যাধুনিক অস্ত্র, যেমন রাফাল, ব্রহ্মোস, এবং এস-৪০০, মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় পাকিস্তানকে হাঁটু গেড়ে বসিয়েছে, যা পাকিস্তানের উদ্বেগের প্রধান কারণ।
ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অভেদ্য। এস-৪০০, যার রেঞ্জ ৪০০ কিমি, পাকিস্তানের প্রতিটি ড্রোন ও মিসাইল ধ্বংস করেছে। এছাড়া, আকাশ (৭০-৮০ কিমি), বারাক-৮ (৭০-১০০ কিমি), স্পাইডার (২০-৩০ কিমি), এবং ইগলা-এস (১০-১৫ কিমি) সমন্বিতভাবে পাকিস্তানের আক্রমণকে শতভাগ ব্যর্থ করেছে। সম্প্রতি, ভারত ৪০,০০০ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ২০টি সুখোই জেটে ব্রহ্মোস মিসাইল সংযোজন, ২৬টি রাফালের নতুন অর্ডার, এবং ১২টি তেজস যুদ্ধবিমান শীঘ্রই বিমানবাহিনীতে যুক্ত হবে। উত্তরপ্রদেশের পাঁচটি শহরে অস্ত্র উৎপাদন ইউনিট স্থাপিত হচ্ছে, যার মধ্যে লখনউতে ব্রহ্মোস মিসাইল ইউনিট বছরে ১০০-১৫০ মিসাইল উৎপাদন করবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক বৈঠকে সু-৩০এমকেআই আপগ্রেড এবং আকাশ-এনজি, ভিএল-এসআরএসএএম, এবং কিউআরএসএএম মিসাইল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলি ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল, এবং যুদ্ধবিমান প্রতিহত করতে সক্ষম। মেক ইন ইন্ডিয়ার অধীনে অস্ত্র উৎপাদন ত্বরান্বিত করা হচ্ছে, এবং প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়িয়ে অত্যাধুনিক অস্ত্র ক্রয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। ভারতের এই প্রস্তুতি পাকিস্তানকে ভীত করেছে, যারা এখন চিন, তুরস্ক, এবং ইরানের কাছে সাহায্য ভিক্ষা করছে।