আজারবাইজানের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙলে ভারতের বিপদ! জ্বালানি সংকটে পকেট পুড়বে?

ভারত ও আজারবাইজানের সম্পর্কে ফাটল ধরলে জ্বালানি খাতে বড় ধাক্কা লাগতে পারে। আজারবাইজান, ককেশাস অঞ্চলের এই ছোট্ট দেশটি ভারতের জ্বালানি নিরাপত্তা ও পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভারত এই দেশ থেকে অপরিশোধিত তেল ও তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) আমদানি করে। ONGC বিদেশের ক্যাস্পিয়ান সাগর প্রকল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে দুই দেশের জ্বালানি বাণিজ্য আরও জোরদার হয়েছে। সম্পর্ক ভেঙে গেলে ভারতকে রাশিয়া বা উপসাগরীয় দেশগুলির মতো ব্যয়বহুল ও অস্থিতিশীল বিকল্পের উপর নির্ভর করতে হবে। এতে গার্হস্থ্য গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ৭০-১২০ টাকা বাড়তে পারে। পেট্রোল, ডিজেল, প্লাস্টিক, রাসায়নিক ও টেক্সটাইলের দামও বাড়বে, যা মুদ্রাস্ফীতির চাপ বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের পকেটে আঘাত হানবে।
সাম্প্রতিক কূটনৈতিক উত্তেজনা এই সংকটের মূল কারণ। আজারবাইজান ভারতের অভ্যন্তরীণ নীতি ও ইসলামিক বিষয়ে সমালোচনা করেছে, যা ভারতের প্রতিক্রিয়াকে উসকে দিয়েছে। পাকিস্তান ও তুর্কিয়ের সঙ্গে আজারবাইজানের ঘনিষ্ঠতা, বিশেষ করে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-বিরোধী অবস্থান, সম্পর্ককে আরও জটিল করেছে। আজারবাইজান জাতিসংঘ ও ওআইসি ফোরামে ভারতের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে, যা ভারতের নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দেয়। এই সম্পর্কের ভাঙন শুধু জ্বালানি নয়, রাসায়নিক, ধাতু ও শিল্প যন্ত্রাংশের সরবরাহেও প্রভাব ফেলবে। অটোমোবাইল ও ওষুধ শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা কর্মসংস্থান ও উৎপাদন হারে ধাক্কা দেবে। ভারতকে এখন কূটনৈতিক সতর্কতা ও বিকল্প কৌশল খুঁজতে হবে, যাতে এই ক্ষতি এড়ানো যায়।