‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে পোস্টে বিপদ! গ্রেপ্তার অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক

হরিয়ানার অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর আলি খান মাহমুদাবাদ ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জন্য গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিজেপি ইউথ উইংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়েরের পর তাকে দিল্লিতে হেফাজতে নেওয়া হয়। তার পোস্টে কর্নেল সোফিয়ার মিডিয়া ব্রিফিংকে ‘লোকদেখানো’ এবং ‘দ্বিচারিতা’ বলে কটাক্ষ করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, সোফিয়ার প্রশংসাকারীরা গণপিটুনি বা বুলডোজার দিয়ে সম্পত্তি ধ্বংসের বিষয়ে কেন নীরব? হরিয়ানা মহিলা কমিশনও তার বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেছে। “এই পোস্ট সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে,” বলেন কমিশনের সদস্য রিনা শর্মা।
অধ্যাপক মাহমুদাবাদ দাবি করেন, তার মন্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। তিনি বলেন, “আমার পোস্টে নারীবিদ্বেষ নেই। আমি কর্নেল সোফিয়ার মতো একজন মুসলিম নারী অফিসারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেছি। আমি শুধু বলতে চেয়েছি, এই অন্তর্ভুক্তি অন্য মুসলিম নাগরিকদের প্রতিও প্রসারিত হোক।” তবে, তার বিরুদ্ধে সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে। অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা এই ঘটনার তদন্ত করছি।” সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশ্র মুখ খোলা মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে এই ঘটনা নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে। এই গ্রেপ্তার কি মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, নাকি আইনের যথাযথ প্রয়োগ?