মুগফলি ফসলের ক্ষতি: কৃষিমন্ত্রী শিবরাজের ফোন, সোমবারের মধ্যে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস

মহারাষ্ট্রের ওয়াশিম জেলার মানোরা বাজার সমিতিতে ১৫ মে ২০২৫-এ বেমৌসুমি বৃষ্টির কারণে কৃষক গৌরব পানওয়ারের মুগফলি ফসল বিক্রির জন্য রাখা অবস্থায় ধুয়ে যায়। এই ঘটনার একটি মর্মস্পর্শী ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়, যেখানে গৌরব তাঁর ফসল বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা করছেন। ভিডিওটি কেন্দ্রীয় কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের নজরে আসে, যিনি গৌরবের সঙ্গে ফোনে কথা বলে তাঁকে সান্ত্বনা দেন এবং ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেন।
শিবরাজ তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, “গৌরব পানওয়ারের ফসল বিনষ্টের ভিডিও দেখে হৃদয় বিচলিত হয়েছে। কৃষক হিসেবে আমি তাঁর এই বেদনা বুঝতে পারি। আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি এবং আশ্বস্ত করেছি।” তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস এবং রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার কথা উল্লেখ করে বলেন, “মহারাষ্ট্র সরকার অত্যন্ত সংবেদনশীল। আমি ডেপুটি কালেক্টরের সঙ্গেও কথা বলেছি। সোমবারের মধ্যে গৌরবের ক্ষতির পূর্ণ মূল্যায়ন করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”
ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি ও সরকারের অঙ্গীকার
শিবরাজ গৌরবকে বলেন, “আপনার মুগফলির ক্ষতি যাতে আপনার পরিবারের উপর বোঝা না হয়, তার জন্য আমরা কাজ করছি। কেন্দ্র ও মহারাষ্ট্র সরকার কৃষকদের পাশে রয়েছে। কৃষক কল্যাণ আমাদের প্রধান লক্ষ্য।” তিনি জানান, ফসল বীমা যোজনার আওতায় ক্ষতিপূরণ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে। গৌরবের পরিবারের পাঁচ একর জমিতে এই বছর তিন একরে মুগফলি চাষ করা হয়েছিল, কিন্তু বৃষ্টির কারণে প্রতি একরে মাত্র ১.৫ কুইন্টাল উৎপাদন হয়, যা বাজারে বিক্রির আগেই নষ্ট হয়ে যায়।
ঘটনার প্রেক্ষাপট ও প্রভাব
মহারাষ্ট্রের ওয়াশিম, আমরাওয়াতি এবং নাগপুরে ১৪-১৮ মে বেমৌসুমি বৃষ্টি মুগফলি, মুগ, ছোলা এবং তুয়ার ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে। মানোরা বাজার সমিতিতে কৃষকরা তাঁদের ফসল বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছিলেন, কিন্তু অপ্রত্যাশিত বৃষ্টি তাঁদের স্বপ্ন ভাসিয়ে দেয়। গৌরবের বাবা ইন্দল পানওয়ার স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “শুধু মুগফলি নয়, আমাদের পরিবারের সারা বছরের স্বপ্নও এই বৃষ্টিতে ভেসে গেছে।”
সরকারি পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ
মহারাষ্ট্র সরকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য জরুরি ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। কৃষি বিভাগ ক্ষতির মূল্যায়ন শুরু করেছে, এবং ফসল বীমা যোজনার আওতায় ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিবরাজ সিং চৌহানের সক্রিয় ভূমিকা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কৃষকদের সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা কৃষক সম্প্রদায়ের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে।