মুজফ্ফরপুরে ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর দরবার: ২ লক্ষ ভক্তের জন্য ভোজন, থাকার ও পার্কিংয়ের ব্যবস্থা

মুজফ্ফরপুরে ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর দরবার: ২ লক্ষ ভক্তের জন্য ভোজন, থাকার ও পার্কিংয়ের ব্যবস্থা

বিহারের মুজফ্ফরপুরের পতাহী চৌসিমায় ২০ মে থেকে বাগেশ্বর ধামের পীঠাধীশ্বর পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী এক দিব্য দরবার সাজাবেন। তিনি সন্ধ্যা ৫টায় বিষ্ণু মহাযজ্ঞে অংশ নিয়ে হনুমান কথা শোনাবেন। এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে জেলায় ভক্তদের মধ্যে অসাধারণ উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। “বাবার দরবারে এসে মনের ইচ্ছা পূর্ণ হবে,” বলেন পুণে থেকে আগত ভক্ত রমেশ পাটিল। মহারাষ্ট্রের রানী দেবী বলেন, “বাবার আশীর্বাদে জীবনের সব সমস্যা দূর হবে।”
১৯ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত চলা এই বিষ্ণু মহাযজ্ঞে প্রায় ২ লক্ষ ভক্তের জন্য জলরোধী পণ্ডাল তৈরি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেড আয়োজনস্থল পরিদর্শন করেছে। এসএসপি সুশীল কুমার ও সিটি এসপি বিস্বজিৎ দয়ালের নেতৃত্বে পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট, সিসিটিভি এবং সোশ্যাল মিডিয়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফায়ার ডিপার্টমেন্ট পণ্ডালের নিরাপত্তা অডিট করেছে। এসডিএম পূর্বী অমিত কুমার জানান, “এক দিনের এই আয়োজনের জন্য নিরাপত্তার পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী ২০ মে দিল্লি হয়ে দ্বারভাঙ্গা বিমানবন্দরে পৌঁছে সড়কপথে কথাস্থলে আসবেন। ২৩ থেকে ২৬ মে বৃন্দাবনের বিখ্যাত কথাবাচক অনিরুদ্ধাচার্য কথা বলবেন। আয়োজন কমিটির সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় কুমার সিং জানান, “ভক্তদের জন্য ভোজন, থাকার জায়গা, পানীয় জল, প্রবেশ-প্রস্থান ও পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।” ভাণ্ডারের মাধ্যমে প্রতিদিন হাজারো ভক্তদের খাওয়ানো হবে। পূর্ণিয়া থেকে আগত কাঞ্চন দেবী বলেন, “এই আয়োজন ভক্তদের জন্য এক অলৌকিক অভিজ্ঞতা।”

এই দরবারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হবে বলে আয়োজকরা আশা করছেন। পুলিশ ও প্রশাসনের কড়া নজরদারি এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে যে ভক্তরা কোনো অসুবিধা ছাড়াই বাবা বাগেশ্বরের আশীর্বাদ ও হনুমান কথা উপভোগ করতে পারবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *