অপারেশন সিন্দুরের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য ভারতীয়দের কাছে অস্বাভাবিক ঠেকলেও, এর পেছনে এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে—জেন্ট্রি থমাস বিচ। টেক্সাসের এই বিনিয়োগকারী এবং ট্রাম্প জুনিয়রের ওয়ার্টন স্কুলের সহপাঠী পাকিস্তান ও বাংলাদেশে বিশাল বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আলোচনায়। ট্রাম্পের শপথের মাত্র ১০ দিন পর, ৩০ জানুয়ারি, তিনি ইসলামাবাদে পৌঁছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি খনিজ ও রিয়েল এস্টেটে বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন, বিশেষ করে সিন্ধু নদীর তীরে পাওয়া প্লেসার সোনার খনি উন্নয়নে। পাকিস্তানের ন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস ৮০,০০০ কোটি টাকার সোনার ভাণ্ডার আবিষ্কারের দাবি করেছে, এবং জেন্ট্রি অ্যাপেক্স এনার্জির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন এই সম্পদ কাজে লাগাতে।

পরদিনই, ৩১ জানুয়ারি, জেন্ট্রি ঢাকায় পৌঁছে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বাংলাদেশে রিয়েল এস্টেট, সামাজিক আবাসন, মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা খাতে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন। তাঁর কো ম্পা নি হাইগ্রাউন্ড হোল্ডিংস ইতিমধ্যে বাংলাদেশে সম্পদ অর্জন করেছে। তবে তিনি ইউনূস সরকারের হিন্দু সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ উপেক্ষা করে আইনশৃঙ্খলার উন্নতির প্রশংসা করেছেন। তুরস্কেও তিনি টেরা হোল্ডিংসের সঙ্গে তেল ও খনির যৌথ উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেছেন। জেন্ট্রির এই তৎপরতা ভারতের সঙ্গে ট্রাম্পের কূটনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, বিশেষ করে পহেলগাম হামলার সময়ে তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে।