পাকিস্তান-প্রযোজিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের কূটনীতি: এমজে আকবরের ব্যাখ্যা

পাকিস্তান-প্রযোজিত সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কূটনৈতিক প্রতিনিধিদল পাঠানোর সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এমজে আকবর বলেছেন, এটি প্রথমবার নয় যে এই ধরনের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে, এই প্রথমবার জনকূটনীতি (পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি) এত তীব্রভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শুধু সরকারের সঙ্গে নয়, বরং বিশ্বের মানুষের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের উদ্যোগকে প্রতিফলিত করে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমাদের মিশন সহজ—তথ্য উপস্থাপন করা। আমরা বানানো গল্পে বিশ্বাস করি না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী আমাদের কৌশলগত উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছেন।”
পাকিস্তানের জন্য শান্তি মিশন বোঝা কঠিন
এমজে আকবর বলেন, পাকিস্তানের প্রতিনিধিদলের সমস্যা হলো, তারা যদি বলে তাদের মিশন শান্তির, তবে তাদের নিজেদের মিশনের অর্থ বোঝা খুবই কঠিন হবে। তিনি বলেন, “পাকিস্তান কখনো নিজেদের সঙ্গে বা প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ছিল না। বিশেষ করে নিজেদের সঙ্গে তারা কখনো শান্তিতে থাকেনি।” তিনি পার্থক্য ব্যাখ্যা করে বলেন, “আমরা বিশ্বের সামনে তথ্য নিয়ে আসব, আর তারা মিথ্যা ও বানানো গল্প নিয়ে আসবে।”
২০১৮ সালে বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া প্রবীণ সাংবাদিক এমজে আকবরকে নরেন্দ্র মোদী সরকার সাতটি বহুপাক্ষিক প্রতিনিধিদলের একটিতে নিয়োগ করেছে। এই প্রতিনিধিদলের উদ্দেশ্য পাকিস্তান-উদ্ভূত সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভারতের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করা।
২৫টি দেশে প্রতিনিধিদল, ১৫টি ইউএনএসসি সদস্য
‘অপারেশন সিন্দুর’-এর অধীনে সাতটি প্রতিনিধিদল ২৫টি দেশে যাবে এবং প্রমাণসহ এই অভিযানের প্রকৃত বার্তা বিশ্বের সামনে তুলে ধরবে। দেশ নির্বাচনের ক্ষেত্রে, ১৫টি দেশ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) সদস্য, ৫টি দেশ আগামী দিনে ইউএনএসসি-র সদস্য হবে, এবং বাকি ৫টি প্রভাবশালী দেশ। বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলের ব্রিফিংয়ে এই তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা ইউএনএসসি-র সদস্য ১৫টি দেশে যাচ্ছি এবং আমাদের লক্ষ্য তথ্যের মাধ্যমে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন অর্জন করা।”
উপসংহার
এমজে আকবরের বক্তব্য ভারতের কূটনৈতিক কৌশলের উপর আলোকপাত করে, যেখানে তথ্য ও সত্যের মাধ্যমে পাকিস্তানের মিথ্যা প্রচারণার মোকাবিলা করা হচ্ছে। এই প্রতিনিধিদলগুলো সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থানকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও শক্তিশালী করবে।