ওয়াকফ আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে তীব্র বিতর্ক, ধর্মীয় অধিকার কি বিপন্ন?

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ওয়াকফ সংশোধনী আইন ২০২৫-এর বৈধতা নিয়ে শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই জানান, যেকোনো আইনের সাংবিধানিক বৈধতার একটি অনুমান থাকে। অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের জন্য শক্তিশালী ও স্পষ্ট ভিত্তি প্রয়োজন, অন্যথায় আদালত হস্তক্ষেপ করবে না। আবেদনকারীদের পক্ষে কপিল সিব্বল এই আইনকে মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন এবং ওয়াকফ সম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার হাতিয়ার বলে অভিহিত করেন। তিনি সংবিধানের ২৫ ও ২৬ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে বলেন, নতুন আইনে ব্যবহারকারী কর্তৃক ওয়াকফ বাতিল এবং অমুসলিম সদস্যদের ওয়াকফ বোর্ডে অন্তর্ভুক্তি অসাংবিধানিক। সিব্বল আরও প্রশ্ন তুলেছেন, অনিবন্ধিত ওয়াকফকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে অস্বীকার করা এবং পাঁচ বছরের ধর্মীয় বিশ্বাস প্রমাণের শর্ত কেন?
কেন্দ্রীয় সরকার ওয়াকফকে ধর্মনিরপেক্ষ ধারণা হিসেবে সমর্থন করে বলেছে, এটি নিষিদ্ধ করা যায় না। সলিসিটর জেনারেল শুনানিকে তিনটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ রাখার অনুরোধ করলেও, সিব্বল, অভিষেক মনু সিংভি, রাজীব ধাওয়ানসহ অন্যান্য আইনজীবীরা সমগ্র আইনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আদালত নিবন্ধনের আইনি প্রয়োজনীয়তা ও অনিবন্ধিত ওয়াকফের পরিণতি নিয়ে প্রশ্ন করেন। প্রধান বিচারপতি খাজুরাহোর মন্দিরের উদাহরণ তুলে জানান, প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে সুরক্ষিত হলেও পূজা অব্যাহত থাকে। কিন্তু সিব্বল জানান, নতুন আইনে প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ ঘোষিত হলে সম্পত্তি ওয়াকফ থাকবে না। বুধবার কেন্দ্র তাদের পক্ষ উপস্থাপন করবে, এবং এই শুনানি আইনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।