বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইউরেনিয়াম ভাণ্ডার কার হাতে? শীর্ষ ৮ দেশের তালিকা

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইউরেনিয়াম ভাণ্ডার কার হাতে? শীর্ষ ৮ দেশের তালিকা

বিশ্বে ক্রমবর্ধমান শক্তির চাহিদা এবং পারমাণবিক শক্তির গুরুত্বের কারণে ইউরেনিয়ামের মূল্য অভূতপূর্বভাবে বেড়েছে। এই তেজস্ক্রিয় ধাতু কেবল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল ভিত্তি নয়, বরং বিশ্ব রাজনীতি ও শক্তি নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আসুন জেনে নিই বিশ্বের শীর্ষ ৮টি দেশের কথা, যাদের হাতে রয়েছে সবচেয়ে বড় ইউরেনিয়াম ভাণ্ডার।
১. কাজাখস্তান: ইউরেনিয়ামের রাজা
কাজাখস্তান বিশ্বের বৃহত্তম ইউরেনিয়াম উৎপাদক, যা ২০২২ সালে বিশ্বের ৪৩% ইউরেনিয়াম সরবরাহ করেছে। এর রাষ্ট্রীয় কো ম্পা নি কাজাটমপ্রম এই ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব দেয়। ২০২২ সালে এটি ২১,২২৭ মেট্রিক টন ইউরেনিয়াম উৎপাদন করেছে, এবং এর ভাণ্ডার প্রায় ৮১৫,২০০ টন ($১৩০/কেজি)।

২. কানাডা: প্রযুক্তি ও খনির সমন্বয়
কানাডা উৎপাদনে দ্বিতীয়, বিশ্বের ১৩% ইউরেনিয়াম সরবরাহ করে। এর সিগার লেক খনি বিশ্বের সর্বোচ্চ গ্রেডের ইউরেনিয়াম খনি হিসেবে পরিচিত। ২০২২ সালে এটি ৭,৩৫১ মেট্রিক টন উৎপাদন করেছে, এবং এর ভাণ্ডার ৫৮৮,৫০০ টন ($১৩০/কেজি)।

৩. অস্ট্রেলিয়া: বিশাল ভাণ্ডারের দেশ
অস্ট্রেলিয়ার হাতে বিশ্বের বৃহত্তম ইউরেনিয়াম ভাণ্ডার, প্রায় ১.৬৮ মিলিয়ন টন ($১৩০/কেজি), যা বিশ্বের ২৮%। তবে পরিবেশগত বিধিনিষেধের কারণে এটি উৎপাদনে চতুর্থ (৯%)। অলিম্পিক ড্যাম খনি বিশ্বের বৃহত্তম ইউরেনিয়াম আমানত।

৪. রাশিয়া: শক্তি ও কৌশলের মিশ্রণ
রাশিয়ার ভাণ্ডার ৪৮০,৯০০ টন ($১৩০/কেজি), বিশ্বের ৮%। এটি পারমাণবিক প্রযুক্তি ও ইউরেনিয়াম রপ্তানি করে ফ্রান্সের মতো দেশে। ২০২৩ সালে এটি মার্কিন পারমাণবিক কেন্দ্রে ২৭% সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সরবরাহ করেছে।

৫. নামিবিয়া: আফ্রিকার ইউরেনিয়াম শক্তি
নামিবিয়ার ভাণ্ডার ৪৭০,১০০ টন ($১৩০/কেজি), বিশ্বের ৮%। ল্যাঙ্গার হেইনরিখ এবং রসিং খনি এটিকে উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে রেখেছে (১১%)।

৬. দক্ষিণ আফ্রিকা: খনিজের নতুন শক্তি
দক্ষিণ আফ্রিকার ভাণ্ডার ৩২০,৯০০ টন ($১৩০/কেজি), বিশ্বের ৫%। এখানে ইউরেনিয়াম সোনা ও অন্যান্য ধাতুর সঙ্গে খনন করা হয়।

৭. নাইজার: বিশাল ভাণ্ডার, সীমিত সম্পদ
নাইজারের ভাণ্ডার ৩১১,১০০ টন ($১৩০/কেজি), বিশ্বের ৫%। আরলিট ও আকুতা খনি উল্লেখযোগ্য, তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা উৎপাদনকে সীমিত করে।

৮. ব্রাজিল: উদীয়মান শক্তি
ব্রাজিলের ভাণ্ডার ২৭৬,৮০০ টন ($১৩০/কেজি), বিশ্বের ৫%। ভবিষ্যতে এটি পারমাণবিক শক্তির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।

(শব্দ সংখ্যা: ২৮০)
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ইউরেনিয়াম ভাণ্ডারের তথ্য ২০২৩ সালের ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রিপোর্ট এবং অন্যান্য সূত্রের উপর ভিত্তি করে। ভাণ্ডারের পরিমাণ নির্ভর করে খনন খরচের উপর, যেমন $১৩০/কেজি বা $২৬০/কেজি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *