টাটা ন্যানো ছিল রতন টাটার হৃদয়ের খুব কাছাকাছি, বৈদ্যুতিক গাড়ির রূপান্তরের স্বপ্ন রয়ে গেল অপূর্ণ

টাটা ন্যানো ছিল রতন টাটার হৃদয়ের খুব কাছাকাছি, বৈদ্যুতিক গাড়ির রূপান্তরের স্বপ্ন রয়ে গেল অপূর্ণ

বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী শিল্পপতি রতন টাটা, যিনি টাটা গ্রুপকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তাঁর এক অনন্য স্বপ্ন এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। ন্যানো গাড়ি, যেটিকে তিনি ‘জনগণের গাড়ি’ হিসেবে পরিচিত করেছিলেন, সেই গাড়িকে তিনি বৈদ্যুতিক রূপে রূপান্তর করতে চেয়েছিলেন—যেন সেটি হয়ে ওঠে আগামী দিনের শহুরে পরিবহনের সাশ্রয়ী সমাধান।

২০১৫ সালের আশেপাশে, রতন টাটা এই প্রজেক্টের সূচনা করেছিলেন এবং এর নাম দেন ‘Neo EV’। তাঁর ভাবনা ছিল, এই গাড়িটি দুইটি ভ্যারিয়েন্টে আসবে—একটি শহরের ভেতরে ছোট দূরত্বের জন্য, অন্যটি দীর্ঘ যাত্রার জন্য একটু বড় ব্যাটারিতে সজ্জিত। ন্যানোকে ‘ফিউচার কার’ বানানোর লক্ষ্যে তিনি দক্ষিণ ভারতের কোয়েম্বাটুর-ভিত্তিক একটি স্টার্টআপের সঙ্গে কাজ করছিলেন। যদিও টাটা গ্রুপের আওতাধীন জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার ব্যবহারের সুযোগ ছিল, তবুও রতন টাটা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ন্যানোতেই চড়তেন।

ওলা ইলেকট্রিকের সঙ্গে যোগাযোগ

এই স্বপ্নের আরেক প্রান্ত জুড়ে আছে ওলা ইলেকট্রিকের প্রতিষ্ঠাতা ভাবিশ আগরওয়ালের গল্প। তিনি জানান, ২০১5 সালে রতন টাটা তার কো ম্পা নিতে বিনিয়োগ করেন। এমনকি ২০১৭ সালে রতন টাটা তাঁকে নিজে ফোন করে মুম্বাই ডেকে নেন এবং নিজের ব্যক্তিগত বিমানে করে কোয়েম্বাটুর নিয়ে যান—যেখানে তখন ন্যানো ইভির উপর গোপনে কাজ চলছিল। ভাবিশের মতে, সেদিনই ওলা ইলেকট্রিক প্রকল্পের প্রকৃত সূচনা ঘটে।

রতন টাটার এই উদ্যোগ ছিল ভবিষ্যতপ্রসারী। যদিও স্বপ্নটি পূর্ণতা পায়নি, তবে তাঁর দূরদর্শী ভাবনা ভারতের বৈদ্যুতিক যানবাহন শিল্পকে নতুন দিগন্তে নিয়ে গিয়েছে—এবং হয়তো একদিন তাঁর সেই ন্যানো ইভি ভাবনাই দেশের নতুন দিকচিহ্ন হয়ে উঠবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *