তুর্কির ব্রিকস স্বপ্ন, ভারত কি দেবে বাধা?

তুর্কির ব্রিকস স্বপ্ন, ভারত কি দেবে বাধা?

তুরস্ক ব্রিকসে পূর্ণ সদস্যপদের জন্য আবেদন করেছে, কিন্তু ভারতের সতর্ক অবস্থান তাদের এই স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান ব্রিকসে যোগদানের তীব্র ইচ্ছা প্রকাশ করলেও, কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের প্রতি তাদের সমর্থন এবং সামরিক ড্রোন সরবরাহ ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ। ব্রিকসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে ভারতের সম্মতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সদস্যপদের জন্য সর্বসম্মতি প্রয়োজন। কিছু ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, ভারত তুর্কির সদস্যপদের বিরোধিতা করছে, যদিও তুর্কি কর্মকর্তারা এটি অস্বীকার করেছেন। তুরস্কের ব্রিকসে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর উপর নির্ভরতা কমানোর কৌশলের অংশ, কিন্তু ভারতের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এই পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে।

ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা) উদীয়মান অর্থনীতির একটি শক্তিশালী জোট, যা G7 ও ন্যাটোর বিকল্প হিসেবে বিশ্বব্যাপী ভারসাম্য তৈরি করছে। ইরান, মিশর, ইথিওপিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাম্প্রতিক যোগদানে এর প্রভাব বেড়েছে। তুরস্ক বর্তমানে ব্রিকসের অংশীদার দেশ, কিন্তু পূর্ণ সদস্যপদের জন্য তাদের ভারতের মতো প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের সমর্থন প্রয়োজন। ভারত, এশিয়ার দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে, ব্রিকসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তুরস্কের পাকিস্তান-ঘনিষ্ঠ নীতির কারণে ভারতের সন্দেহ এবং অন্যান্য সদস্যদের সম্প্রসারণ-বিরোধী মনোভাব তুরস্কের পথকে জটিল করে তুলতে পারে। এই কূটনৈতিক টানাপোড়েনের ফলাফল বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন দিক নির্দেশ করতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *