ভেজাল ওষুধের হানা! মমতার কড়া নির্দেশ কী?

পশ্চিমবঙ্গে গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশ থেকে আগত ৫০-৫৫টি ভেজাল ওষুধের ঢল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় উত্তরবঙ্গের আটটি জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কঠোর নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে এই ওষুধ সরকারি হাসপাতাল বা ওষুধের দোকানে ব্যবহার বা বিক্রি না হয়। মমতা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এবং হাসপাতালের স্টোরে ভেজাল ওষুধের উপস্থিতি যাচাই করতে হঠাৎ পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ওষুধের দোকানের সামনে ভেজাল ওষুধের তালিকা প্রকাশ করারও নির্দেশ দিয়েছেন। সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভেজাল স্যালাইনের কারণে দুজনের মৃত্যু নিয়ে বিতর্কের পর এই পদক্ষেপ জনস্বাস্থ্য রক্ষায় মুখ্যমন্ত্রীর কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়।
এছাড়া, মমতা ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি (পিএইচই) দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, ৫৯২টি প্রকল্প সময়মতো শেষ হয়নি, এবং মাটি পরীক্ষা না করে পাইপ ফেলার কারণে অনেক কাজ থমকে গেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “পাইপ ফেললে জল পৌঁছাতেই হবে।” কেন্দ্রীয় সরকারের জলজীবন মিশনের তুলনায় রাজ্য ৯০ শতাংশ খরচ বহন করে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়া, পুরসভাগুলোর স্বেচ্ছাচারী কর বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, “বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড় হবে না।” কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধে কর বৃদ্ধির অভিযোগ উঠলেও, তিনি তা অস্বীকার করেন, এবং মমতা হালকা মেজাজে তাঁকে ‘চিতল মাছ খাওয়ার’ পরামর্শ দেন।