লখনউ মেট্রোর নতুন যাত্রা, চারবাগ থেকে বসন্তকুঞ্জ পর্যন্ত ১২টি স্টেশন-পিআইবি-র অনুমোদন

লখনউ: লখনউ মেট্রোর বহু প্রতীক্ষিত ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর (চারবাগ থেকে বসন্তকুঞ্জ) প্রকল্প পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট বোর্ড (পিআইবি)-র অনুমোদন পেয়েছে, যা শহরের পরিবহন ব্যবস্থায় নতুন মাইলফলক স্থাপন করতে চলেছে। ৫,৮০১ কোটি টাকার এই প্রকল্পের বিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদন (ডিপিআর) মার্চ ২০২৪-এ রাজ্য সরকারের সুপারিশ এবং ৯ জুলাই নেটওয়ার্ক প্ল্যানিং গ্রুপের (এনপিজি) অনুমোদন পেয়েছিল। এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ডিপিআর প্রেরণ করা হয়েছে। এই করিডরটি ১১.১৬৫ কিমি দীর্ঘ হবে, যার মধ্যে ৪.২৮৬ কিমি উড়াল এবং ৬.৮৭৯ কিমি ভূগর্ভস্থ। এতে মোট ১২টি স্টেশন থাকবে—৭টি ভূগর্ভস্থ এবং ৫টি উড়াল।
ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরটি চারবাগ মেট্রো স্টেশন থেকে শুরু হয়ে গৌতম বুদ্ধ নগর, আমিনাবাদ, পাণ্ডেগঞ্জ, সিটি রেলওয়ে স্টেশন, মেডিকেল চৌরাহা, চৌক, ঠাকুরগঞ্জ, বালাগঞ্জ, সরফরাজগঞ্জ, মুসাবাগ এবং বসন্তকুঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। চারবাগ স্টেশনটি ইন্টারচেঞ্জ হাব হিসেবে কাজ করবে, যেখানে যাত্রীরা উত্তর-দক্ষিণ করিডর থেকে ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরে স্থানান্তর করতে পারবেন। এই করিডর পুরানো লখনউয়ের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা যেমন আমিনাবাদ, চৌক, ঠাকুরগঞ্জ এবং সম্প্রসারিত বসন্তকুঞ্জের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে। এর ফলে লখনউ মেট্রোর বর্তমান ২৩ কিমি নেটওয়ার্ক ৩৫ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
উত্তর প্রদেশ মেট্রো রেল কর্পোরেশনের (ইউপিএমআরসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুশীল কুমার বলেন, “এই প্রকল্প লখনউয়ের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সুবিধাজনক, নিরাপদ এবং বিশ্বমানের পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে আসবে। এটি পুরানো শহরের সংস্কৃতি, খাদ্য, পর্যটন এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সুগমতা আনবে।” তিনি জানান, যেমন উত্তর-দক্ষিণ করিডর সময়ের আগে সম্পন্ন হয়েছিল, তেমনই ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরও নির্ধারিত সময়ের আগে জনগণের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
ইউপিএমআরসি জানিয়েছে, এই প্রকল্পটি সম্পন্ন হতে চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে। গ্রাউন্ডওয়ার্ক এবং গবেষণার ডেটা ইতিমধ্যেই প্রস্তুত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর নির্মাণকাজ শুরু হবে। বর্তমানে লখনউয়ের সিসিএস এয়ারপোর্ট থেকে মুন্সিপুলিয়া পর্যন্ত ২১টি স্টেশনে মেট্রো পরিষেবা চালু রয়েছে। এই নতুন করিডর শহরের কানেক্টিভিটি এবং উন্নয়নকে আরও গতি দেবে।