অযোধ্যায় রামলালার ন্যায়ের ইতিহাস, ৩০ হাজারের বেশি নথি হবে ডিজিটাল

পবিত্র রাম নগরী অযোধ্যা শুধু ভক্তির তীর্থস্থান নয়, ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘ ও আলোচিত আইনি সংগ্রামের প্রতীকও। শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দিরের সঙ্গে জড়িত এই ঐতিহাসিক লড়াইয়ের গল্প এখন ডিজিটাল পাতায় সংরক্ষিত হতে চলেছে। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট ৩০ হাজারেরও বেশি আইনি নথির ডিজিটালকরণ শুরু করেছে, যেখানে কয়েক দশকের পুরনো মামলার নথি থেকে ২০১৯-এর সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায় পর্যন্ত সবকিছু সংরক্ষিত হবে। উন্নত স্ক্যানিং প্রযুক্তি ও সফটওয়্যার-ভিত্তিক ইমেজ প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে প্রতিটি পাতা, স্বাক্ষর ও তথ্য সঠিকভাবে সুরক্ষিত রাখা হচ্ছে।
এই ডিজিটালকরণ কেবল নথি সংরক্ষণের মাধ্যম নয়, একটি যুগকে অমর করে রাখার প্রয়াস। ট্রাস্টের সদস্য অশোক সিং বলেন, “এই উদ্যোগ শুধু ইতিহাস সংরক্ষণই নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ন্যায় ও সত্যের এই যাত্রাকে তুলে ধরার একটি সেতু।” এই প্রক্রিয়ার মূল বৈশিষ্ট্য হলো সংরক্ষণ, গুণমান, স্বচ্ছতা এবং গবেষণার নতুন দ্বার উন্মোচন। কাগজের নথি সময়ের সঙ্গে নষ্ট হতে পারে, কিন্তু ডিজিটাল ফরম্যাটে এগুলো দশকের পর দশক সুরক্ষিত থাকবে।
এই উদ্যোগ স্বচ্ছতাও বাড়াবে। গবেষক, ইতিহাসবিদ, আইনজীবী ও ছাত্ররা মূল নথি স্পর্শ না করেই এর প্রামাণিক তথ্যে প্রবেশাধিকার পাবেন। নির্দিষ্ট মেটাডেটা ও নিয়ন্ত্রিত অ্যাক্সেসের মাধ্যমে এই ডিজিটাল সংগ্রহ সাধারণ মানুষের জন্যও উন্মুক্ত হবে। রাম মন্দিরের মামলা ও এর সঙ্গে জড়িত ঐতিহাসিক ঘটনাগুলির গভীর গবেষণার জন্য এই সংগ্রহ অমূল্য সম্পদ হয়ে উঠবে। অযোধ্যার এই ডিজিটাল ইতিহাস শুধু অতীতকে সংরক্ষণ নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ন্যায়ের এই যাত্রার সঙ্গে সংযুক্ত করার একটি জীবন্ত সেতু হবে।