ইরানে ইসলাম ত্যাগের ঢেউ! কেন পিছিয়ে পড়ছে ধর্ম?

ইরানে ইসলাম ত্যাগের ঢেউ! কেন পিছিয়ে পড়ছে ধর্ম?

ইরান, যিনি একসময় পারস্য সংস্কৃতির কেন্দ্র ছিল, আরব খলিফাদের শাসনের পর শিয়া মুসলিম দেশে পরিণত হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানে ইসলাম ত্যাগের একটি উল্লেখযোগ্য প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ডিডব্লিউ-এর একটি জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪৭% মানুষ ইসলাম ত্যাগ করছে। ২০২৩ সালে ৫০,০০০-এর বেশি মসজিদ বন্ধ হয়েছে, কারণ মসজিদগুলো রাজনৈতিক ও গোষ্ঠীগত ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর আয়াতুল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে কঠোর ইসলামী আইন জারি হওয়ায় দেশটি মৌলবাদী পথে হাঁটে, যা জনগণের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করেছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম, যার মধ্যে ৭৮% ২০-২৯ বছর বয়সীরা বাধ্যতামূলক হিজাব আইনের বিরোধিতা করছে, তারা ধর্মীয় বিধিনিষেধ প্রত্যাখ্যান করে স্বাধীনতার দিকে ঝুঁকছে।

২০২৪ সালে উদারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতি ও মুক্ত পরিবেশ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সৌদি আরবের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা মুফতি আব্দুল আজিজ আল-শেখের বিতর্কিত মন্তব্য, যিনি ইরানিদের ‘জরথুষ্ট্রবাদী’ ও ‘মুসলিম নয়’ বলে অভিহিত করেছেন, ইরানের শিয়া-সুন্নি শত্রুতাকে আরও উসকে দিয়েছে। জনগণ এখন ইসলামী গ্রন্থের প্রতি বিশ্বাস হারাচ্ছে এবং প্রাচীন পারস্য সংস্কৃতির দিকে ফিরে তাকাচ্ছে। তরুণরা ধর্মীয় কাঠামোর পরিবর্তে স্বাধীনতা ও আধুনিকতার পক্ষে, যা ইরানের সামাজিক ও রাজনৈতিক গতিশীলতায় বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *