ভারতের কূটনৈতিক মাস্টারস্ট্রোক, পাক সন্ত্রাসের মুখোশ খুলবে!

ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ পাকিস্তান-স্পন্সরিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে বিশ্ব মঞ্চে প্রশংসিত হচ্ছে। প্রাক্তন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন এই অভিযানের সমর্থনে বলেছেন, এটি বিশ্বকে বোঝাতে সাহায্য করবে যে ভারত দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদের কী ভয়াবহতা সহ্য করেছে। তিনি ভারতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার শূন্য সহনশীলতার নীতি তুলে ধরছে। জাতিসংঘে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে, বোল্টন জোর দিয়েছেন যে সন্ত্রাসী হামলা কোনও সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়। ভারতের এই কূটনৈতিক প্রচারণা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সত্যতা প্রকাশ করবে। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাবকে গুরুত্ব না দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, এটি তার প্রশংসা পাওয়ার প্রচেষ্টা মাত্র।
ভারত সাতটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অপারেশন সিন্দুরের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করছে। জেডিইউ সাংসদ সঞ্জয় কুমার ঝার নেতৃত্বে একটি দল জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর সফর করছে, যেখানে বিজেপি, কংগ্রেস, টিএমসি ও সিপিআই(এম)-এর প্রতিনিধিরা রয়েছেন। শিবসেনা সাংসদ শ্রীকান্ত শিন্ডের নেতৃত্বে আরেকটি দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, লাইবেরিয়া, কঙ্গো ও সিয়েরা লিওনে যাবে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, এই সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল ভারতের জাতীয় ঐক্য ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরবে। এই উদ্যোগ জাতিসংঘে টিআরএফ-এর মতো সন্ত্রাসী সংগঠনকে তালিকাভুক্ত করার ভারতের প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করবে, বিশ্বব্যাপী সমর্থন বাড়িয়ে তুলবে।