উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ তুললেও, এবার সেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী কোয়েল মজুমদারের নাম দুটি জায়গার ভোটার তালিকায় রয়েছে—জলপাইগুড়িতে তাঁর বাপের বাড়িতে কোয়েল চৌধুরী নামে এবং বালুরঘাটে শ্বশুরবাড়িতে কোয়েল মজুমদার নামে। এই ঘটনা সামনে আসতেই নির্বাচন কমিশন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে কোয়েল জলপাইগুড়ি থেকে বালুরঘাটে ভোটার কার্ড স্থানান্তর করলেও, জলপাইগুড়ির তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ পড়েনি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর কোয়েল নিজেই জলপাইগুড়ির ভোটার কার্ড বাতিলের জন্য আবেদন করেছেন। তবে, সুকান্ত এই বিতর্কের দায় নিতে নারাজ এবং জেলা প্রশাসন ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর দোষ চাপিয়েছেন।

সুকান্তর বক্তব্য, তাঁর স্ত্রী জলপাইগুড়ির ভোটার কার্ড স্থানান্তর করার পরও প্রশাসনের ব্যর্থতায় নাম বাদ যায়নি। তিনি বলেন, “এটি একটি নন-ইস্যু, যাকে ইস্যু করার চেষ্টা হচ্ছে। ভোটার তালিকার দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের, যারা মমতার নির্দেশে কাজ করে।” তিনি জানান, তিনি আগেই বিডিও-কে জলপাইগুড়ির নাম বাতিলের জন্য বলেছেন। এই ঘটনায় বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে রাজনৈতিক তরজা তীব্র হয়েছে। সুকান্তর দাবি, এই বিতর্কের পিছনে প্রশাসনের অদক্ষতা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তদন্তের ফলাফল এখন সবার নজরে। এই ঘটনা ভোটার তালিকার স্বচ্ছতা এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে।