বিকানের, রাজস্থান: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার রাজস্থানের বিকানের সফরে এসে প্রথমেই পৌঁছে যান দেশনোকের বিখ্যাত করণী মাতা মন্দিরে। মন্দিরে পূজা দিয়ে মাতার আশীর্বাদ গ্রহণ করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা। অপারেশন সিন্ধুর পর এই প্রথমবার রাজ্যে এলেন মোদী।

করণী মাতা মন্দির শুধু ধর্মীয় কারণে নয়, সেনাবাহিনীর সাথেও এর গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মন্দিরের পুরোহিত গজেন্দ্র জানান, “এই সীমান্তবর্তী অঞ্চলে পোস্টিংয়ের আগে অনেক সেনা জওয়ান করণী মাতা মন্দিরে দর্শন করতে আসেন। তাদের বিশ্বাস, মাতার আশীর্বাদে সীমান্তে সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।” মন্দিরটির একটি রহস্যময় দিক হল, এখানে ২৫ হাজারেরও বেশি চূঁহা রয়েছে, যাদের স্থানীয়ভাবে ‘কাবা’ বলা হয় এবং পূজিতও হয়। আজও এই রহস্য বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার বাইরে রয়ে গেছে।

দর্শনের পর প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশনোকের নবনির্মিত রেল স্টেশনের উদ্বোধন করেন, যা ‘অমৃত ভারত প্রকল্প’-এর অধীনে গড়ে তোলা হয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি বিকানের-মুম্বই এক্সপ্রেস ট্রেনের সূচনা করেন।

এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী ২৬ হাজার কোটি টাকার একাধিক অবকাঠামো প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। এর মধ্যে রয়েছে ১,০০০ কিমি বিদ্যুৎচালিত রেলপথ, সাতটি প্রধান সড়ক প্রকল্প, তিনটি যানবাহন আন্ডারপাস এবং ৯০০ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ। পালানা গ্রামে এক বিশাল জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় মোদী জাতীয় নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শক্ত বার্তা দেওয়ার ইঙ্গিত দেন।

এই সফর শুধু উন্নয়নমূলক নয়, রাজনৈতিক ও প্রতিরক্ষা কৌশলের দিক থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।