মোদির ৩পি চেতাবনী: জল, পারমাণবিক হুমকি, পিওকে নিয়ে পাকিস্তানকে কঠোর বার্তা

পহেলগামে ২২ এপ্রিলের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি পাকিস্তানকে তিনটি মূল বিষয়ে—জল, পারমাণবিক হুমকি এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে)—কঠিন চেতাবনী দিয়েছেন, যাকে ‘৩পি’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। মধুবনী, বিহার থেকে শুরু করে ২২ মে রাজস্থানের বিকানেরের জনসভায় তিনি এই বার্তা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। মোদি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “ভারতের রক্ত নিয়ে খেলা পাকিস্তানের জন্য ব্যয়বহুল হবে।”
জল নিয়ে চেতাবনী: হামলার পরদিনই, ২৩ এপ্রিল, ভারত সিসিএস বৈঠকে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়, যা পাকিস্তানের কৃষির ৮০% জল সরবরাহ করে। মোদি বলেন, “রক্ত আর জল একসঙ্গে বইবে না। ভারতের জল ভারতের উন্নয়নের জন্য ব্যবহৃত হবে।” পাকিস্তান এই পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধের কাজ’ হিসেবে আখ্যায়িত করলেও, মোদি বিকানেরে জানান, “ভারতের হকের জল পাকিস্তান পাবে না।”
পিওকে নিয়ে আলোচনা: মোদি ১২ মে জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হলে কেবল সন্ত্রাসবাদ আর পিওকে নিয়ে হবে। কাশ্মীরের বিষয় পাকিস্তানের এজেন্ডা থেকে বাদ।” তিনি পাকিস্তানকে পিওকে’র ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনা করতে বলেন, স্পষ্ট করে জানান যে ভারত কাশ্মীর নিয়ে কোনো আলোচনায় আগ্রহী নয়।
পারমাণবিক হুমকির জবাব: পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকির বিরুদ্ধে মোদি কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেন, “ভারত পারমাণবিক ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না। সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোর উপর সুনির্দিষ্ট ও কঠোর হামলা চলবে।” ১০ মে’র যুদ্ধবিরতির পরও তিনি বিকানেরে এই হুঁশিয়ারি দেন। ভারত ঘোষণা করেছে, যেকোনো হামলাকে ‘যুদ্ধের কাজ’ হিসেবে গণ্য করে সামরিক জবাব দেওয়া হবে। অপারেশন সিন্দুরের মাধ্যমে ভারত পাকিস্তান ও পিওকে’র নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকে’র লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-ই-মোহাম্মদের সদর দপ্তরও রয়েছে।