তুরস্কের জন্য ভারতের শেষ সুযোগ: পাকিস্তানের সমর্থন বন্ধ করুন, নয়তো অর্থনৈতিক ক্ষতি!

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে তুরস্ক পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে নিজের জন্য বিপদ ডেকে এনেছে। পহলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে তুরস্ক পাকিস্তানকে ড্রোন ও অস্ত্র সরবরাহ করেছে এবং সীমান্ত সন্ত্রাসবাদ নিয়ে নীরব থেকেছে। ফলে ভারতের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। ভারত সরকার কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছে, এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় #BoycottTurkey ট্রেন্ড অর্থনৈতিক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি করেছে। তবে ভারত বড় হৃদয় দেখিয়ে তুরস্ককে সম্পর্ক উন্নতির শেষ সুযোগ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “আমরা আশা করি তুরস্ক পাকিস্তানকে সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের সমর্থন বন্ধ করতে এবং দশক ধরে লালিত সন্ত্রাসী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য ও যাচাইযোগ্য পদক্ষেপ নিতে জোর দেবে। সম্পর্ক একে অপরের উদ্বেগের প্রতি সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠে।” এই বার্তা তুরস্কের সামনে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
তুরস্ক এখন দ্বিধায়। পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর তুলতে হবে, নয়তো ভারতের সঙ্গে দূরত্বের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি মেনে নিতে হবে। তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের সমর্থক। সাম্প্রতিক সংঘর্ষে পাকিস্তান তুর্কি ড্রোন ব্যবহার করে ভারতীয় শহরগুলোকে লক্ষ্য করেছিল, যদিও ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা বেশিরভাগ হামলা ব্যর্থ করেছে। তুরস্কের এই পদক্ষেপ ভারতের ক্রোধের কারণ হয়েছে, এবং এখন তুরস্ককে সিদ্ধান্ত নিতে হবে—সম্পর্ক মেরামত বা অর্থনৈতিক ক্ষতি।