কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব: অন্ধ্রপ্রদেশে গণজমায়েত বন্ধ, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক

অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার কোভিড-১৯-এর ক্রমবর্ধমান কেসের মধ্যে ২২ মে ২০২৫-এ একটি নতুন সতর্কতা জারি করেছে। এই পরামর্শে ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি এবং গর্ভবতী মহিলাদের কঠোরভাবে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কারণ এই গোষ্ঠীগুলো ভাইরাসের ঝুঁকিতে বেশি। ১৯ মে ২০২৫ পর্যন্ত ভারতে সক্রিয় কোভিড কেস ২৫৭, যা দেশের বিশাল জনসংখ্যার তুলনায় কম হলেও, কেরালা (৯৫ কেস), তামিলনাড়ু (৬৬ কেস) এবং মহারাষ্ট্র (৫৫ কেস)-এর মতো প্রতিবেশী রাজ্যে কেস বৃদ্ধি অন্ধ্রপ্রদেশকে সতর্ক করেছে।
নির্দেশিকার মূল বিষয়: সরকার গণজমায়েত, যেমন প্রার্থনা সভা, সামাজিক অনুষ্ঠান বা পার্টি নিষিদ্ধ করেছে। রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড ও বিমানবন্দরের মতো ভিড়ের জায়গায় কোভিড প্রোটোকল মেনে চলা বাধ্যতামূলক। জনসাধারণকে নিয়মিত হাত ধোয়া, কাশি/হাঁচির সময় মুখ ঢাকা এবং মুখে হাত না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভিড় বা দুর্বল বায়ুচলাচলের জায়গায় মাস্ক পরা আবশ্যক।
কোভিড-১৯-এর লক্ষণ ও পরীক্ষা: লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, ঠান্ডা লাগা, কাশি, গলা ব্যথা, স্বাদ বা গন্ধ না পাওয়া, মাথাব্যথা, শরীরে ব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া, বমি বা ডায়রিয়া। লক্ষণ দেখা দিলে তাৎক্ষণিক পরীক্ষা করানো এবং নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোভিড-আক্রান্ত দেশ থেকে ভ্রমণকারীদের অবশ্যই পরীক্ষা করাতে হবে। অসুস্থ ব্যক্তিদের ঘরে থেকে অন্যদের সুরক্ষিত রাখতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি: অন্ধ্রপ্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ সমস্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পিপিই কিট, ট্রিপল-লেয়ার মাস্ক এবং এন৯৫ রেসপিরেটর মজুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পরীক্ষাগারগুলোতে ২৪ ঘণ্টা কোভিড পরীক্ষার সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। যদিও অন্ধ্রপ্রদেশে বর্তমানে কোনো সক্রিয় কেস নেই, সরকার সম্ভাব্য ঢেউ মোকাবিলায় প্রস্তুতি জোরদার করছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
অতিরিক্ত তথ্য: অন্ধ্রপ্রদেশে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শপিং মল, সিনেমা হল এবং বাজারে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। স্বাস্থ্য বিভাগ জনসচেতনতা বাড়াতে এবং স্বাস্থ্য সুবিধাগুলোর প্রস্তুতি জোরদার করতে নির্দেশ দিয়েছে। যদিও কেস কম, জেএন.১ ভ্যারিয়েন্টের কারণে সতর্কতা জারি রয়েছে।