বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রের ছায়া, ইউনুসের সামনে রাজনৈতিক সংকটের পথচলা

বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার ছায়া ক্রমশ ঘনিয়ে আসছে। আগস্ট ২০২৪-এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অপ্রত্যাশিত দেশত্যাগের পর পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হয়েছে। ক্ষমতার দায়িত্ব এখন নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী মুহম্মদ ইউনুসের কাঁধে, তবে এই দায়িত্ব যেন বিষফোঁড়া হয়ে উঠছে। দেশের সামরিক ও অন্তর্বর্তী সরকার মধ্যকার সংঘাত তীব্রতর হচ্ছে, এবং সেনাবাহিনী শীঘ্রই ক্ষমতা দখলের গুজবগুলো জোরালো হচ্ছে।
বিপক্ষের, বিশেষত বিএনপির চাপ বাড়ছে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের জন্য। ঢাকায় অনুষ্ঠিত বৃহৎ বিএনপি সমাবেশের পর এই চাপ আরও বেড়েছে, যা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, মুহম্মদ ইউনুস কি এই সংকট মোকাবেলা করে দেশকে স্থিতিশীল করতে পারবেন? তার উত্তরের জন্য প্রধান তিনটি পথ রয়েছে — প্রথম, সমস্ত রাজনৈতিক দলকে একত্রিত করে সমঝোতার ভিত্তি তৈরি; দ্বিতীয়, দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ফিরিয়ে আনা; এবং তৃতীয়, সেনাবাহিনীর বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সুশৃঙ্খল সমন্বয় সাধন।
তবে বর্তমানে সেনাবাহিনীর মধ্যে দুই ভাগ বিভাজন দেখা যাচ্ছে — একটি ভারতের কাছাকাছি, অন্যটি পাকিস্তানপন্থী। এই সংঘাতের মধ্যে ভারসাম্য রাখা ইউনুসের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যদি তিনি সঠিক সময়ে কার্যকর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত না নেন, তাহলে শুধু নির্বাচন পিছিয়ে যাবে না, দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোও সংকটে পড়বে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।