ইউনূসের জন্য মার্চ, বাংলাদেশে ক্ষমতার নতুন খেলা?

বাংলাদেশের রাজনীতিতে মহম্মদ ইউনূসকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তুঙ্গে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি বলছেন, কাজ করতে পারছেন না। এর মধ্যেই ঢাকার শাহবাগে ‘মার্চ ফর ইউনূস’-এর ডাক পড়েছে, যেখানে পোস্টারে লেখা—‘ইউনূস থাকুক পাঁচ বছর’ ও ‘আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন’। এই কর্মসূচি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, এটি নতুন ধরনের ক্ষমতার খেলা। ইউনূস নিজে কাজে ব্যর্থতার কথা বললেও পদত্যাগ করছেন না, বরং জাতির উদ্দেশে ভাষণের খসড়া তৈরি করছেন। প্রশ্ন উঠছে, তিনি কি দায় এড়াতে চাইছেন, নাকি পিছনে কোনও শক্তি তাঁকে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় রাখতে উৎসাহিত করছে? এই মার্চ কি তাঁর পক্ষে জনমত তৈরির কৌশল?
ইউনূসের নেতৃত্ব নিয়ে সংশয় বাড়ছে। তিনি বলছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কৃতিত্ব পাবেন না, কিন্তু ব্যর্থ হলে দায় চাপবে। তাই কি তিনি এখনই দায় এড়াতে আরেকটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথা বলছেন? রাজনীতির মাঠে ব্যালট ছিনতাইয়ের আশঙ্কা ও উত্তাপের মধ্যে ইউনূস যেন নীরব দর্শক। তাঁর ‘কাজ করতে না পারার’ বক্তব্য কি পদত্যাগের কূটনৈতিক ইঙ্গিত? নাকি ব্যর্থতার অজুহাত তৈরির কৌশল? বাংলাদেশের অস্থির রাজনীতিতে এই মার্চ ও ইউনূসের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন বাড়ছে।