অপারেশন সিন্দুরের সাফল্য: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মোদী সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপ

শুক্রবার দিল্লিতে বিএসএফ-এর এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অপারেশন সিন্দুর নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “অপারেশন সিন্দুর বিশ্বজুড়ে আলোচিত। আমরা আতঙ্কবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করেছি। ২০১৪-এর আগে পাকিস্তানকে কখনো যথাযথ জবাব দেওয়া হয়নি। কিন্তু মোদী সরকারের অধীনে আমরা উরি ও বালাকোটে প্রবেশ করে কঠোর জবাব দিয়েছি। অপারেশন সিন্দুরেও আমরা দৃঢ় প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি।” তিনি জানান, ৮ মে দুটি বড় আতঙ্কবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়, কিন্তু পাকিস্তানের সেনা বা বিমানঘাঁটিতে হামলা করা হয়নি। তবে পাকিস্তান আতঙ্কবাদীদের উপর হামলাকে নিজেদের সেনার উপর হামলা হিসেবে গণ্য করে প্রতিশোধমূলক সামরিক পদক্ষেপ নেয়, যার জবাবে ভারত ৯ মে তাদের বিমানঘাঁটি ধ্বংস করে।
অমিত শাহ জোর দিয়ে বলেন, “পাকিস্তান প্রমাণ করেছে যে বিশ্বের আতঙ্কবাদ তাদের প্রায়োজিত। আতঙ্কবাদীদের শেষকৃত্যে তাদের সেনা কর্মকর্তাদের উপস্থিতি এটাই নিশ্চিত করে। আমরা ১০০ কিলোমিটার ভিতরে প্রবেশ করে যে জবাব দিয়েছি, তাতে গোটা দেশ ভারতীয় সেনার উপর গর্বিত।” তিনি আরও বলেন, “অপারেশন সিন্দুর প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি, গোয়েন্দা সংস্থার নির্ভুল তথ্য এবং সেনার অসাধারণ মারক ক্ষমতার অভূতপূর্ব সমন্বয়। বিএসএফ থাকতে পাকিস্তান এক ইঞ্চিও এগোতে পারবে না।”
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পাহালগামে আতঙ্কবাদী হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। এর জবাবে ভারত ৭ মে অপারেশন সিন্দুর শুরু করে, পাকিস্তানের ৯টি আতঙ্কবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করে এবং প্রায় ১০০ আতঙ্কবাদীকে নিধন করে। পাকিস্তান এর প্রতিশোধে ৮-১০ মে ভারতের উপর হামলার চেষ্টা করে, কিন্তু ব্যর্থ হয়। ১০ মে একটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। শাহ বলেন, “পাহালগামে নিরীহ মানুষের উপর হামলার পর প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এর যথাযথ জবাব দেওয়া হবে। অপারেশন সিন্দুর সেই প্রতিশ্রুতির সফল বাস্তবায়ন।”