পাকিস্তানের জল সংকট, চেনাব-ঝিলমে ভারতের নিয়ন্ত্রণ কী বদলে দেবে?

পাকিস্তানের জল সংকট, চেনাব-ঝিলমে ভারতের নিয়ন্ত্রণ কী বদলে দেবে?

ভারতের সিন্ধু জল চুক্তি (IWT) স্থগিতের পর চেনাব ও ঝিলম নদীর জলপ্রবাহে নাটকীয় পরিবর্তন পাকিস্তানের জন্য সংকট তৈরি করছে। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ভারত এই ৬৫ বছরের পুরনো চুক্তি বাতিল করে। স্যাটেলাইট চিত্র ও জলপ্রবাহের তথ্যে দেখা গেছে, ভারত চেনাবের বাগলিহার বাঁধে জল সঞ্চয় করে হঠাৎ ছেড়ে দিচ্ছে, যা পলি পরিষ্কার ও বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, মারালা বাঁধে জলপ্রবাহ ২ মে ৮,০৮৭ কিউসেক থেকে ৩ মে ৫৫,১৪৮ কিউসেকে উঠে, আবার ৬ মে ৩,৭৬১ কিউসেকে নেমে আসে। ঝিলমের কিষাণগঙ্গা বাঁধেও একইভাবে গেট খোলা-বন্ধের মাধ্যমে জল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এই ফ্লাশিং পাকিস্তানের খালে পলি জমাট ও জলপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছে, যা কৃষি ও জল সরবরাহে প্রভাব ফেলছে।

পাকিস্তানের মঙ্গলা বাঁধে জলের স্তর তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল হলেও, ফ্লাশিংয়ের প্রভাব স্পষ্ট। ভারত এখন চেনাব-ঝিলমের জলের সর্বোচ্চ ব্যবহারে মনোযোগী, চারটি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র ও তুলবুল নেভিগেশন প্রকল্প চালুর পরিকল্পনা করছে। এতে পাকিস্তানের জল সরবরাহ আরও সংকুচিত হতে পারে। পাকিস্তান চুক্তি পুনর্বহালের জন্য চিঠি লিখলেও, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর স্পষ্ট জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদ বন্ধ না হলে আলোচনা সম্ভব নয়। সিন্ধু নদীতে বড় বাঁধ না থাকায় পরিবর্তন নেই, তবে চেনাব-ঝিলমের পরিস্থিতি পাকিস্তানের জন্য উদ্বেগজনক।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *