ইসরোর মহিলা বিজ্ঞানীরা নতুন ইতিহাস গড়বে, ৪০% অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি

ইসরোর মহিলা বিজ্ঞানীরা নতুন ইতিহাস গড়বে, ৪০% অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-র চেয়ারম্যান ভি. নারায়ণন জানিয়েছেন, ইসরোর কর্মীবাহিনীতে বর্তমানে মহিলাদের অংশগ্রহণ প্রায় ২০ শতাংশ, এবং তারা অসাধারণ কাজ করছেন। চেন্নাইয়ে একটি বেসরকারি স্কুলের অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “ভারতের মতো দেশে, যেখানে জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ মহিলা, তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া দেশের অগ্রগতি সম্ভব নয়।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, মহিলা বিজ্ঞানীদের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ বা তার বেশি করার লক্ষ্য রয়েছে। “তারা অসাধারণ কাজ করছেন, এবং তাদের আরও উৎসাহিত করতে হবে,” বলেন নারায়ণন।

নারায়ণন সমাজ সংস্কারক রাজা রামমোহন রায়ের উল্লেখ করে বলেন, ১৯শ শতাব্দীতে মহিলাদের অধিকার ও কল্যাণের জন্য তাঁর লড়াই আজও প্রেরণার উৎস। এই ঘোষণা এমন সময়ে এসেছে যখন ভারতে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত (STEM) ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। ইসরোর মহিলা বিজ্ঞানীরা চন্দ্রযান-৩ এবং আদিত্য-এল১ মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, যা তরুণীদের জন্য অনুপ্রেরণা। “মহিলা বিজ্ঞানীদের অবদান ছাড়া এই সাফল্য আসাম্ভব ছিল,” বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ইসরো প্রথম স্বদেশী মহাকাশ স্টেশন প্রতিষ্ঠা এবং আগামী আড়াই বছরের মধ্যে চন্দ্রযান-৪ মিশনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা ভারতের মহাকাশ গবেষণায় নতুন মাইলফলক হবে। নারায়ণন জানান, বর্তমানে ৫৭টি সক্রিয় উপগ্রহ আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে টেলি-শিক্ষা পর্যন্ত বিভিন্ন সেবা প্রদান করছে। তিনি ভারতের ১১,৫০০ কিলোমিটার উপকূলরেখা এবং উত্তর সীমান্তে নজরদারির গুরুত্বের উপরও জোর দেন। এই প্রেক্ষাপটে মহিলাদের বর্ধিত অংশগ্রহণ ইসরোর ভবিষ্যৎ মিশনগুলিকে আরও শক্তিশালী করবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *