বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা পরেশ রাওয়াল তাঁর আইকনিক ‘হেরা ফেরি’র বাবু রাও চরিত্রকে ‘গলার কাঁটা’ বলে নতুন বিতর্কের সূচনা করেছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, বাবু রাও তাঁকে বিপুল জনপ্রিয়তা দিলেও এই চরিত্রের পুনরাবৃত্তি তাঁকে বিরক্ত করছে। তিনি বলেন, “এই চরিত্রের পোশাক ও গেটআপ থেকে আমি বেরিয়ে আসতে চাই।” এই কারণেই তিনি ‘হেরা ফেরি ৩’ ছেড়েছেন। তাঁর এই বক্তব্য বলিউডে টাইপকাস্ট ভূমিকা ও ক্রিয়েটিভিটির অভাব নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। পরেশের মতে, ইন্ডাস্ট্রি জনপ্রিয় ফর্মুলার পুনরাবৃত্তির দিকে ঝুঁকছে, যা শিল্পের বৈচিত্র্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
পরেশ রাওয়াল জানান, “আমরা ক্রিয়েটিভ দিকে কম মনোযোগ দিই। যা জনপ্রিয়, তাই বারবার ফলো করা হয়। সাহসী তারাই, যারা এই ফাঁদ থেকে বেরিয়ে নতুন কিছু করে।” তিনি প্রিয়দর্শন, অক্ষয় কুমার ও সুনীল শেট্টির প্রতিভার প্রশংসা করলেও বলেন, “বাবু রাওয়ের চরিত্রে নতুনত্ব আনা উচিত ছিল।” তিনি ‘মুন্না ভাই’ সিরিজের প্রশংসা করে বলেন, অনেক সিক্যুয়েলে গল্পের বৈচিত্র্যের অভাব রয়েছে। তবে বিতর্কের আরেকটি দিক হল, অক্ষয় কুমারের প্রযোজনা সংস্থা কেপ অফ গুড ফিল্মস ২৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। সূত্রের খবর, পরেশ অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দাবি করেছিলেন, যদিও তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পরেশ রাওয়ালের ‘ওহ মাই গড’-এর কানজি লালজি মেহতা, ‘ওয়েলকাম’-এর ড. ঘুঙ্গরু সেঠ বা ‘হাঙ্গামা’-র রাধেশ্যাম তিওয়ারির মতো চরিত্রগুলো তাঁর অভিনয়ের বহুমুখিতা প্রমাণ করে। তবু বাবু রাও তাঁর অন্যান্য ভূমিকাকে ছাপিয়ে গেছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এই একঘেয়েমি কি শিল্পের জন্য ক্ষতিকর নয়? তবে বলিউডে আইকনিক চরিত্রের ঐতিহ্যও রয়েছে—যেমন আমজাদ খানের গব্বর সিং বা কানহাইয়ালালের মুশি লালা। পরেশের এই বক্তব্য নতুন প্রজন্মের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের ক্রিয়েটিভ ঝুঁকি নিতে উৎসাহিত করলেও তাঁর এই সিদ্ধান্ত কি সত্যিই শুধু বাবু রাও থেকে মুক্তির জন্য, নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে, তা নিয়ে জল্পনা চলছে।