দিল্লি হাইকোর্টে সেলেবির নিরাপত্তা বাতিলের লড়াই, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ‘নিয়মভঙ্গ’ বললেন সিনিয়র আইনজীবী

দিল্লি, ২৩ মে: তুর্কি কো ম্পা নি সেলেবি অ্যাভিয়েশন সার্ভিসেস ইন্ডিয়ার নিরাপত্তা ক্লিয়ারেন্স বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে বিচার চলছে। সেলেবির পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মুক্তুল রোহাতগী জানান, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত “নিয়মের স্পষ্ট লঙ্ঘন” এবং ২০১১ সালের ‘এয়ারক্রাফট সিকিউরিটি রুলস’-এর ধারা ১২ এর প্রতি শ্রদ্ধা না দেখানো হয়েছে। তিনি বলেন, “সরকার কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া নিরাপত্তা ক্লিয়ারেন্স বাতিল করতে পারে না। সরকারকে এই সিদ্ধান্তের কারণ লিখিতভাবে প্রকাশ করতে হবে।”
সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে জানিয়েছেন, তারা শনিবারের মধ্যে লিখিত জবাব দাখিল করবেন। গত বুধবারের শুনানিতে রোহাতগী তুলে ধরেন, ১৭ বছর ধরে সেলেবি কোনও অভিযোগ বা ভুল করেনি, তাই এই বাতিলের পদক্ষেপ অযৌক্তিক ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। তিনি আরও বলেন, আগের বিচারগুলি ১৯৩৭ সালের পুরনো নিয়মের ওপর ভিত্তি করেই হয়েছিল, কিন্তু বর্তমান মামলাটি ২০১১ সালের আধুনিক বিধির আওতায়।
বিষয়টি শুরু হয় ১৫ মে, যখন কেন্দ্র জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির কথা উল্লেখ করে সেলেবির নিরাপত্তা বাতিল করে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে ছিল মে মাসের শুরুর দিকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সীমান্তে তুর্কি উৎপত্তির ড্রোন ব্যবহারের অভিযোগ। সরকার ও ফরেনসিক বিশ্লেষণ থেকে জানা গেছে, ওই ড্রোনগুলি ছিল তুর্কির ‘আসিসগার্ড সঙ্গার’ মডেল, যা নজরদারি ও নির্ভুল হামলার জন্য ব্যবহৃত হয়।
এই বিতর্ক কূটনৈতিক ও আইনি ইস্যুতে পরিণত হয়েছে, যা ভারত-তুরস্ক সম্পর্কের নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আদালতের আদেশ শীঘ্রই আসার সম্ভাবনা রয়েছে।