সুপ্রিম কোর্টে পরিবর্তনের আহ্বান: জাস্টিস ওকার বিদায়ী ভাষণে সিজেআই-কেন্দ্রিক ব্যবস্থার সমালোচনা

সুপ্রিম কোর্টে পরিবর্তনের আহ্বান: জাস্টিস ওকার বিদায়ী ভাষণে সিজেআই-কেন্দ্রিক ব্যবস্থার সমালোচনা

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস. ওকা শনিবার (২৪ মে, ২০২৫) অবসর গ্রহণ করছেন। তাঁর শেষ কার্যদিবসে, শুক্রবার, তিনি ১১টি রায় ঘোষণা করেছেন, যা তাঁর কঠোর কর্মনিষ্ঠার প্রমাণ। বিদায়ী ভাষণে জাস্টিস ওকা সুপ্রিম কোর্টের সিজেআই-কেন্দ্রিক কাঠামোর সমালোচনা করে বলেন, “দেশের হাইকোর্টগুলি কমিটির মাধ্যমে আরও গণতান্ত্রিকভাবে কাজ করে। সুপ্রিম কোর্টে সিজেআই-কেন্দ্রিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন প্রয়োজন।” তিনি মামলার তালিকাভুক্তিতে স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম এবং যুক্তিসঙ্গত রোস্টারের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে বলেন, “ম্যানুয়াল হস্তক্ষেপ কম না হলে তালিকাভুক্তি উন্নত হবে না।”
জাস্টিস ওকা প্রশংসা করে বলেন, সাবেক সিজেআই সঞ্জীব খান্না স্বচ্ছতার পথ দেখিয়েছেন, এবং বর্তমান সিজেআই বিআর গবাইয়ের রক্তে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে নতুন সিজেআইয়ের অধীনে এই পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে। তাঁর এই মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের কার্যপ্রণালীতে সংস্কারের একটি শক্তিশালী আহ্বান।
সিজেআই গবাই জাস্টিস ওকার প্রশংসায় বলেন, “তাঁর রায়ে ন্যায় ও নৈতিকতার অসাধারণ সমন্বয় রয়েছে। তিনি আইন ও নৈতিকতার প্রফেসর।” তিনি উল্লেখ করেন, জাস্টিস ওকা সবসময় আদালতের প্রথম কর্মকর্তা হিসেবে উকিলদের গুরুত্ব স্মরণ করিয়েছেন। চল্লিশ বছরের বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করে গবাই বলেন, “আমরা একসঙ্গে জিএলসি-তে আইন পড়েছি, বোম্বে হাইকোর্টে উকিল হিসেবে কাজ করেছি। তাঁর নিষ্ঠা ও শক্তিশালী রায় অতুলনীয়।”
জাস্টিস ওকার অবসরের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট একজন নিষ্ঠাবান ও নৈতিক বিচারপতিকে হারাল। তাঁর শেষ দিনে ১১টি রায় ঘোষণা এবং সরকারি বাসভবন না নেওয়ার মতো সাধারণ জীবনযাপন তাঁর ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন। তাঁর প্রস্তাবিত সংস্কার ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *