মহারাষ্ট্র-ছত্তিশগড় সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর বড় সাফল্য: চার মাওবাদী নিহত, অস্ত্রের ভাণ্ডার উদ্ধার

মহারাষ্ট্র-ছত্তিশগড় সীমান্তের গড়চিরোলি জেলার ভামরাগড় উপবিভাগের কাওয়ান্দে থানা এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী একটি বড় সাফল্য অর্জন করেছে। গোপন সূত্রে মাওবাদী গতিবিধির খবর পেয়ে ২২ মে, ২০২৫ (বৃহস্পতিবার) অতিরিক্ত পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট এম. রমেশের নেতৃত্বে গড়চিরোলি পুলিশের সি-৬০ কমান্ডোর ১২টি টিম এবং সিআরপিএফ-এর ১১৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের একটি টিম কাওয়ান্দে ও নেলগুন্ডা থেকে অভিযানে রওনা হয়।
২৩ মে (শুক্রবার) সকাল ৭টায় ইন্দ্রাবতী নদীর তীরে জঙ্গলে তল্লাশি চালানোর সময় মাওবাদীরা হঠাৎ গুলি চালায়। পুলিশ তাদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেয়, কিন্তু মাওবাদীরা আরও তীব্র আক্রমণ করে। প্রায় দুই ঘণ্টার তুমুল সংঘর্ষের পর নিরাপত্তা বাহিনী তল্লাশি চালিয়ে দুই নারী ও দুই পুরুষ মাওবাদীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন:
সান্নু মাসা পুঙ্গাটি (৩৫), কাওয়ান্দের বাসিন্দা, দলম কমান্ডার, ৮ লক্ষ টাকার ইনাম ঘোষিত, তিনটি মামলায় অভিযুক্ত।
অশোক ওরফে সুরেশ পোরিয়া ওয়াড্ডে (৩৮), কাওয়ান্দের বাসিন্দা, দলম সদস্য, ২ লক্ষ টাকার ইনাম, ১৭টি মামলায় অভিযুক্ত।
বিজয়ো হোয়ামি (২৫), ছত্তিশগড়ের গঙ্গালুরের বাসিন্দা, দলম সদস্য, ২ লক্ষ টাকার ইনাম, ১২টি মামলায় অভিযুক্ত।
করুণা ওরফে মমিতা ওরফে তুনি পাণ্ডু ওয়ার্সে (২১), গোঙ্গওয়াড়ার বাসিন্দা, দলম সদস্য, ২ লক্ষ টাকার ইনাম, ৯টি মামলায় অভিযুক্ত।
মুঠভেড়স্থল থেকে একটি এসএলআর, দুটি .৩০৩ রাইফেল, একটি ভরমার বন্দুক, একটি ওয়াকি-টকি, মাওবাদী সাহিত্য এবং দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিসপত্র জব্দ করা হয়। এই অভিযানটি বিশেষ পুলিশ মহানিরীক্ষক (নকশাল বিরোধী অভিযান) সন্দীপ পাটিল, পুলিশ উপ-মহানিরীক্ষক অঙ্কিত গোয়াল, সিআরপিএফ অভিযান প্রধান অজয় কুমার শর্মা, পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট নীলোৎপল এবং সিআরপিএফ ১১৩ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট জসবীর সিং-এর তত্ত্বাবধানে সফল হয়।
২০২১ সাল থেকে গড়চিরোলি পুলিশ ৮৭ জন কুখ্যাত মাওবাদীকে নিহত করেছে, ১২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে এবং ৬৩ জন আত্মসমর্পণ করেছে। পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট নীলোৎপল এই সাহসী অভিযানের প্রশংসা করে অভিযান আরও তীব্র করার ইঙ্গিত দিয়েছেন এবং মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ করে মূলধারায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।