মিয়ানমারে ৪.০ তীব্রতার ভূমিকম্প, সাগাইং ফল্টে বাড়ছে ভূকম্পনের ঝুঁকি

মিয়ানমারে ৪.০ তীব্রতার ভূমিকম্প, সাগাইং ফল্টে বাড়ছে ভূকম্পনের ঝুঁকি

মিয়ানমারে শনিবার (২৪ মে, ২০২৫) মাঝরাতে ০০:২৮ মিনিটে (আইএসটি) ৪.০ তীব্রতার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) জানায়, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল অক্ষাংশ ২৩.২৪ উত্তর এবং দ্রাঘিমাংশ ৯৩.৯২ পূর্বে, ১০ কিলোমিটার গভীরতায়। এই ঘটনায় এখনও কোনো হতাহত বা সম্পত্তির ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে, ১৯ মে, ২০২৫-এ মিয়ানমারে ৩.৯ তীব্রতার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল, যার কেন্দ্র ছিল ৪০ কিলোমিটার গভীরতায়।

চলতি বছরের মার্চে মিয়ানমারে ৭.৭ এবং ৬.৪ তীব্রতার দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতি হয়, যাতে ১৬০০-এর বেশি মানুষ প্রাণ হারায় এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়। সাগাইং ফল্টের কারণে মিয়ানমারের সাগাইং, মান্দালয়, বাগো এবং ইয়াঙ্গুনের মতো শহরগুলি ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে, যা দেশের ৪৬% জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করে। ইয়াঙ্গুন ফল্ট থেকে দূরে হলেও, ঘনবসতির কারণে এটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির মুখে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভূমিকম্পের পাশাপাশি যক্ষ্মা, এইচআইভি এবং ভেক্টর ও জলবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ছে, যা হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য হুমকি। মিয়ানমারের দীর্ঘ উপকূলরেখার কারণে সুনামির ঝুঁকিও রয়েছে।
ভারত ‘অপারেশন ব্রহ্মা’-এর মাধ্যমে মিয়ানমারে ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে। এই অভিযানের আওতায় ইয়াঙ্গুনের ভারতীয় প্রবাসীদের জন্য খাদ্য, ত্রাণসামগ্রী এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার টিম নেপিদো এবং মান্দালয়ে ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন করছে।

একই দিনে, শনিবার রাত ২:৪৪ (আইএসটি) আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে ৪.২ তীব্রতার একটি ভূমিকম্প হয়, যার কেন্দ্র ছিল ১৩৪ কিলোমিটার গভীরতায়। এই ঘটনায়ও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
মিয়ানমারের সাগাইং ফল্টের কারণে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয়, এবং বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যতে আরও বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করেছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *