সুপ্রিম কোর্ট থেকে অনিল আম্বানির জন্য বড় স্বস্তি, পাবেন ১৮৬ কোটি টাকার চেক

সুপ্রিম কোর্ট রাজস্থানের বিদ্যুৎ বিতরণ কো ম্পা নিগুলোর (ডিসকম) আবেদন খারিজ করে অদানি পাওয়ার রাজস্থান লিমিটেড (এপিআরএল)-এর পক্ষে রায় দিয়েছে, যার ফলে কো ম্পা নিটি ১৮৬ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ পাবে। বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ এবং রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ জানিয়েছে, জয়পুর বিদ্যুৎ বিতরণ নিগম লিমিটেড-সহ রাজস্থানের ডিসকমগুলোর আবেদনে কোনো ভিত্তি নেই। এই রায় বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ)-এর অধীনে কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড (সিআইএল)-এর আরোপিত নিকাশি সুবিধা শুল্ককে ‘আইনের পরিবর্তন’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে অদানি পাওয়ারকে ক্ষতিপূরণের অধিকারী বলে নিশ্চিত করেছে।
২০০৯ সালে, অদানি পাওয়ার রাজস্থানের কাওয়াই পাওয়ার প্রোজেক্ট থেকে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য রাজস্থানের চারটি ডিসকম—জয়পুর, আজমের, যোধপুর বিদ্যুৎ বিতরণ নিগম এবং রাজস্থান উর্জা উন্নয়ন নিগমের সঙ্গে পিপিএ স্বাক্ষর করে। চুক্তিতে প্রতি ইউনিট ৩.২৩৮ টাকা ট্যারিফে বিদ্যুৎ সরবরাহের শর্ত ছিল, যা রাজস্থান বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক কমিশন (আরইআরসি) অনুমোদন করেছিল। কিন্তু ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে সিআইএল ৫০ টাকা প্রতি টন নিকাশি সুবিধা শুল্ক (ইএফসি) আরোপ করলে অদানি পাওয়ার এটিকে ‘আইনের পরিবর্তন’ হিসেবে দাবি করে ক্ষতিপূরণ চায়। ডিসকমগুলো এই দাবি প্রত্যাখ্যান করায় অদানি আরইআরসি-তে আবেদন করে, যারা আংশিকভাবে তাদের দাবি মেনে নেয়। পরে এপিটিইএল ২০২৪ সালের এপ্রিলে অদানির পক্ষে রায় দেয়।
বিচারপতি সুন্দরেশ তাঁর রায়ে বলেন, “সিআইএল-এর মতো সরকারি সংস্থার নতুন শুল্ক আরোপ আইনের পরিবর্তনের সমতুল্য। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদককে আর্থিকভাবে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।” তবে আদালত উল্লেখ করে, অদানি ২০১৭ সালের অধিসূচনার পরপরই আইনি পরিবর্তনের বিষয়টি জানায়নি, যা ডিসকমগুলোর অভিযোগের ভিত্তি ছিল। এই রায় অদানি পাওয়ারের জন্য বড় আর্থিক জয় এবং রাজস্থানের বিদ্যুৎ খাতে চুক্তিগত বাধ্যবাধকতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নজির স্থাপন করেছে।