ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে হার্ভার্ডে বিদেশি ছাত্র ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় কি পরবর্তী লক্ষ্য?

হার্ভার্ডে বিদেশি ছাত্র ভর্তিতে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ও কি পড়বে ঝুঁকিতে?
লিখেছেন: [আপনার নাম], যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারো বিতর্কের কেন্দ্রে। এ বার আলোচনার বিষয় অ্যাপল কো ম্পা নির উপর চাপ এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি বন্ধ করার ঘোষণা। তবে আদালতের হস্তক্ষেপে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে আপাতত স্থগিতাদেশ পড়েছে।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করবো। হার্ভার্ডের কাছে ৫২ বিলিয়ন ডলারের এন্ডোমেন্ট ফান্ড রয়েছে, অথচ সরকার প্রতি বছর বিলিয়ন ডলার খরচ করে শিক্ষার্থীদের জন্য। তাদের নিজের নীতি পাল্টাতে হবে।” এর একদিন আগেই ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের ‘স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম (SEVP)’-এর স্বীকৃতি বাতিল করে।
হার্ভার্ডে প্রতি বছর ১৪০টিরও বেশি দেশের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়, যাদের মধ্যে ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা এবং যুক্তরাজ্যের শিক্ষার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। যদিও আদালতের আদেশে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে এখনই প্রভাব পড়েনি, তবে অনেকে আশঙ্কা করছেন যে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগের সিদ্ধান্তকে ‘অবৈধ ও অসাংবিধানিক’ বলে অভিহিত করে একটি মামলা দায়ের করে। বোস্টনের ফেডারেল কোর্ট ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে হার্ভার্ডকে স্বস্তি দিলেও, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শিগগিরই এই রায় খারিজ করার জন্য নতুন আইনি কৌশল নিতে পারেন।
এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠছে— ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতি ও শিক্ষাক্ষেত্রে হস্তক্ষেপে আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি আদৌ কতটা নিরাপদ?