অপারেশন সিনদুরের পর পারমাণবিক ক্ষতির জল্পনা, পাকিস্তানের দাবি-সবকিছু নিরাপদ

জম্মু-কাশ্মীরের পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত চালায় উচ্চমাত্রার প্রতিরোধমূলক অভিযান—‘অপারেশন সিনদুর’। এই অভিযানে পাকিস্তানে থাকা ১০০-রও বেশি সন্ত্রাসী নিধন এবং ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়। ভারতীয় সেনা আরও জানায়, ১৩টি বিমানঘাঁটির মধ্যে ১১টিকেই সফলভাবে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এক গুঞ্জন—এই হামলায় কি পাকিস্তানের পারমাণবিক অবকাঠামোরও ক্ষতি হয়েছে?
এই বিতর্কে এবার মুখ খুলেছে পাকিস্তান। শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইসলামাবাদ জানায়, “আমাদের কমান্ড ও কন্ট্রোল স্ট্রাকচার পুরোপুরি সুরক্ষিত। পারমাণবিক অস্ত্র সংক্রান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আমরা পুরোপুরি আশ্বস্ত।” পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক এই কথাগুলো জানিয়ে বলে, আন্তর্জাতিক মহল বরং ভারতের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে বেশি চিন্তিত হওয়া উচিত।
বিদেশ মন্ত্রকের আরও অভিযোগ, “ভারতের রাজনীতি, মিডিয়া এবং সমাজের কিছু অংশে যে উগ্র জাতীয়তাবাদ বাড়ছে, তা বৈধ নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি করছে।” উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি শ্রীনগরে বলেন, পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রগুলোকে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA)-এর অধীনে আনা উচিত।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতের সামরিক প্রতিক্রিয়া যেমন ছিল সুনির্দিষ্ট ও কঠোর, পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া তেমনই আত্মরক্ষামূলক। ভারত বারবার বলছে, শুধু সন্ত্রাসবাদ নয়, রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাসকে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে পাকিস্তান। বিশ্বের ৩৩টি দেশে ভারতীয় সাংসদরা এর প্রমাণ তুলে ধরছেন।
এই আবহে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—এই সংঘাত কি কেবল সীমান্তে সীমাবদ্ধ থাকবে, না কি পারমাণবিক উদ্বেগ ঘনীভূত হবে আরও? সময়ই দেবে উত্তর।