আন্ধ্রপ্রদেশে তৈরি হবে দেশের ডিফেন্স হাব, নায়ডু সরকারের কাছে উপস্থাপন পরিকল্পনা

আন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু দেশের প্রতিরক্ষা শিল্পকে একটি নতুন মাত্রা দিতে উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। তিনি রাষ্ট্রকে শুধু একটি উন্নত রাজ্য হিসেবেই নয়, বরং ডিফেন্স উৎপাদনের “ফ্যাক্টরি” হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে, নায়ডু সুখোই, মিগ এবং তেজসের মতো প্রধান যুদ্ধবিমান তৈরির কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
নায়ডু হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড (HAL)-এর উন্নত মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট (AMCA) এবং লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট (LCA) উৎপাদন কেবল কর্নাটক নয়, বরং তাদের রাজ্যে স্থানান্তরের দাবিও তুলেছেন। তিনি বেগম্লুরুর কাছাকাছি লেপাক্ষী-মদকাসিরা এলাকায় ১০,০০০ একর জমি HAL-কে প্রস্তাব করেছেন, যেখানে AMCA উৎপাদন হাব গড়ে তোলা হবে। এর পাশাপাশি পাঁচটি বিশেষ ডিফেন্স হাব স্থাপনের পরিকল্পনাও করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ডোনাকোন্ডায় একটি বিমানঘাঁটি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বিশাখাপত্তনম-অনকাপল্লি অঞ্চলে নৌসেনার জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কুরনুলে ড্রোন ও রোবোটিক্স কেন্দ্র এবং তিরুপতিতে ডিফেন্স ইনোভেশন ও গবেষণা কেন্দ্র।
নায়ডু জানান, “বেঙ্গালুরুর HAL ইকোসিস্টেম স্যাচুরেটেড, এবং আমরা উন্নত অবকাঠামো ও প্রণোদনার মাধ্যমে আরও বেশি বিনিয়োগ ও উৎপাদন সক্ষমতা আনতে চাই।” এই ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম করিডর হবে, যা উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত ২৩,০০০ একর জমিতে বিস্তৃত। এতে দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদন বাড়বে, আমদানি নির্ভরতা কমবে এবং রপ্তানি সুযোগ বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন নায়ডু।
এই উদ্যোগে নায়ডু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছেন, যেখানে তাঁরা সরকারের সহযোগিতা ও দ্রুত বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্ধ্রপ্রদেশের এই পদক্ষেপ দেশের প্রতিরক্ষা শিল্পে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’ উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক স্থাপন করবে।