ক্যান্সার আক্রান্ত টাটা স্টিলের ম্যানেজার পরিবারের সঙ্গে আত্মঘাতী, ঝাড়খণ্ডে চাঞ্চল্য

টাটা স্টিলের সিনিয়র ম্যানেজার কৃষ্ণ কুমার স্ত্রী ও দুই কন্যাকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার গমহরিয়ার চিত্রগুপ্ত নগরে শনিবার রাতে ঘটে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা, যা গোটা এলাকায় শোক ও চমকের পরিবেশ তৈরি করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কৃষ্ণ কুমার দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন এবং সম্প্রতি মুম্বাইয়ে চিকিৎসা করিয়ে ফিরেছিলেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে কিমোথেরাপির পরামর্শ দিয়েছিলেন, যা তাঁর নিজ শহর জামশেদপুরেই করানো সম্ভব ছিল। ১৯ মে পরিবারসহ মুম্বাই থেকে ফিরে আসার পর, তিনি চিকিৎসার জন্য অফিসে ছুটির আবেদনও করেছিলেন। কিন্তু সেই চিকিৎসা শুরুর আগেই তিনি স্ত্রী ডলি দেবী ও দুই কন্যাকে নিয়ে নিজ বাড়িতেই ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
রবিবার সকালে বাড়ির দরজা না খোলায় সন্দেহ হলে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। আদিত্যপুর থানার পুলিশ দরজা ভেঙে চারজনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, “ঘটনাস্থল থেকে কোনো সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি, তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যার ঘটনা। কৃষ্ণ কুমার ক্যান্সারের যন্ত্রণায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।”
ঘটনার তদন্তে ফরেনসিক টিম নামানো হয়েছে এবং পোস্টমর্টেম রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা ও চিকিৎসা-অযোগ্যতা অনেকসময় মানসিক স্বাস্থ্যকে ভেঙে দেয়, যা এমন চরম পদক্ষেপে ঠেলে দিতে পারে।
এই ঘটনাটি কেবল একটি ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি নয়, বরং মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্তদের সহানুভূতির প্রয়োজনীয়তার এক মর্মান্তিক অনুস্মারক।