ইউনূসের ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াই, শাহবাগে উত্তেজনা!

ইউনূসের ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াই, শাহবাগে উত্তেজনা!

বাংলাদেশের রাজনীতি এক নাজুক মোড়ে পৌঁছেছে, যেখানে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেনাবাহিনীর কঠোর সতর্কবার্তার মুখে পড়েছে। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে স্পষ্ট করেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ শুধু নির্বাচন পরিচালনা, নীতিগত সিদ্ধান্ত নয়। তিনি ইউনূসের সংস্কার এজেন্ডা প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, সামরিক ও নিরাপত্তা বিষয়ে সেনাবাহিনীকে উপেক্ষা করা যাবে না। এই বক্তব্য ইউনূসের ক্ষমতায় টিকে থাকার পরিকল্পনাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। গত বছর জনবিক্ষোভের পর ইউনূসের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর হলেও, সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইউনূসের সমর্থকরা এখন শাহবাগ চত্বরে ‘মার্চ ফর ইউনূস’-এর মাধ্যমে রাস্তায় শক্তি প্রদর্শনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যা রাজনৈতিক উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।

ইউনূসের সমর্থকরা, বিশেষ করে জামাত-ই-ইসলামি ও হেফাজতে-ইসলামের মতো উগ্রপন্থী গোষ্ঠী, শাহবাগে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। ‘আগে সংস্কার, তারপর নির্বাচন’ স্লোগান দিয়ে তারা ইউনূসের ক্ষমতায় থাকার পক্ষে জনমত গঠনের চেষ্টা করছেন। এদিকে, সেনা কমান্ডারদের বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণের অভিযোগ উঠেছে, যেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে গণতন্ত্রের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তোলা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউনূস পদত্যাগের কথা বললেও এটি তার সমর্থকদের উত্তেজিত রাখার কৌশল হতে পারে। শাহবাগের এই প্রতিবাদ ১৯৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে, তবে এটি দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ ও স্থিতিশীলতার জন্য নতুন সংকট তৈরি করতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *