আর্কটিকের সম্পদ লুটের দৌড়, রাশিয়া-চীন-আমেরিকার ত্রিমুখী লড়াই!

আর্কটিকের সম্পদ লুটের দৌড়, রাশিয়া-চীন-আমেরিকার ত্রিমুখী লড়াই!

আর্কটিক অঞ্চল এখন বিশ্ব পরাশক্তিগুলোর সম্পদ লুটের প্রতিযোগিতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। রাশিয়া, চীন এবং আমেরিকা এই বরফময় অঞ্চলের খনিজ, তেল এবং গ্যাসের বিপুল সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নিতে তীব্র প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। চীন, ভৌগোলিকভাবে আর্কটিক থেকে দূরে থাকলেও, ‘পোলার সিল্ক রোড’ পরিকল্পনার মাধ্যমে সমুদ্র বাণিজ্য পথ ও অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে। নরওয়ের কিরকেনেস বন্দরের পরিচালক তেরজে জর্গেনসেন বলেন, এখানে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার মিলনস্থল হিসেবে একটি ট্রান্স-শিপমেন্ট বন্দর তৈরি হচ্ছে। রাশিয়া, যারা আর্কটিক উপকূলের অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করে, চীনের বিনিয়োগ ও সামরিক সহযোগিতার উপর নির্ভর করছে, যদিও দুই দেশের মধ্যে সতর্কতা বজায় রয়েছে।

আর্কটিক চারগুণ দ্রুত উষ্ণ হওয়ায় বরফ গলে নতুন সমুদ্রপথ খুলছে, যা এশিয়া-ইউরোপের বাণিজ্যকে ত্বরান্বিত করছে। তবে, এই সম্পদের দৌড়ে নরওয়ের সোয়ালবার্ডে গোয়েন্দা তৎপরতা ও রাশিয়ার সামরিক উপস্থিতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। নরওয়ের কর্নেল জর্ন কুইলার জানান, রুশ সীমান্তের কাছে জিপিএস জ্যামিং ও গুপ্তচরবৃত্তি বেড়েছে। আদিবাসী সম্প্রদায়, বিশেষ করে রাশিয়ায় বসবাসকারীরা, তাদের ভূমিতে বহিরাগত হস্তক্ষেপ নিয়ে উদ্বিগ্ন। গ্রিনল্যান্ডের যুব কর্মী মিয়ুকি দাওরানা বলেন, এটি তাদের জীবন ও সংগ্রামের বিষয়। এই প্রতিযোগিতা পরিবেশ ও আদিবাসীদের জন্য নতুন ঝুঁকি তৈরি করছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *