মায়ের সিদ্ধান্তেই গ্লোবাল সুপারস্টার হয়ে উঠলেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া

মায়ের সিদ্ধান্তেই গ্লোবাল সুপারস্টার হয়ে উঠলেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া

বলিউড থেকে হলিউড—প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার পথচলা এক কথায় অনুপ্রেরণামূলক। কিন্তু এই অসাধারণ সাফল্যের পিছনে একজন নারীর নীরব অবদান অনেকেই জানেন না—তিনি প্রিয়ঙ্কার মা, ড. মধু চোপড়া। তারই একটি সাহসী সিদ্ধান্ত বদলে দিয়েছিল প্রিয়ঙ্কার জীবন।

মাত্র ১৩ বছর বয়সে পড়াশোনার জন্য আমেরিকার বোস্টনে পাঠানো হয় প্রিয়ঙ্কাকে। কিন্তু সেখানে তাকে গাত্রবর্ণ নিয়ে নানা বিদ্রুপের শিকার হতে হয়। ভারতের মেয়ে হয়েও আমেরিকায় সে সময় একাকিত্ব আর আত্মবিশ্বাসের অভাব নিয়ে লড়তে হয়েছে তাকে। ফিরে এলে, তার বাবা চেয়েছিলেন মেয়েকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠাতে। তবে সেই সময় এক অন্যরকম পথ বেছে নেন মা মধু চোপড়া।

‘মিস ইন্ডিয়া’ প্রতিযোগিতায় পাঠানো ছবি বদলে দিল ভাগ্য

ইউনিভার্সিটির জন্য তোলা কিছু পাসপোর্ট সাইজ ছবি দেখে হঠাৎই এক পরিকল্পনা করেন মধু চোপড়া। চুপিচুপি সেই ছবিগুলো পাঠিয়ে দেন ‘মিস ইন্ডিয়া’ প্রতিযোগিতায়। সেখানেই নির্বাচিত হন প্রিয়ঙ্কা, এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। তবে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি।

বিশ্বসুন্দরীর মুকুট থেকে বলিউডে প্রথম পা

২০০০ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ খেতাব জিতে রাতারাতি আন্তর্জাতিক পরিচিতি পেয়ে যান প্রিয়ঙ্কা। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ২০০২ সালে দক্ষিণী ছবি থমিজান দিয়ে অভিনয় শুরু, পরে ‘দ্য হিরো: লাভ স্টোরি অব এ স্পাই’ দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ। আজ তিনি কেবল একজন অভিনেত্রী নন, এক গ্লোবাল আইকন।

এ সবের সূচনা হয়েছিল এক মায়ের বিশ্বাস আর সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। সেই গল্পটাই আজও মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *