ভারতীয় গোয়েন্দা জালে পাক হাই কমিশনের গোপন স্পাই নেটওয়ার্কের রহস্য উদ্ঘাটিত

ভারতীয় গোয়েন্দা জালে পাক হাই কমিশনের গোপন স্পাই নেটওয়ার্কের রহস্য উদ্ঘাটিত

পাকিস্তান হাই কমিশন নতুন দিল্লিতে দীর্ঘদিন ধরেই গুপ্তচরবৃত্তির কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। অপারেশন ‘সিন্দুর’ এবং পরবর্তী সময়ে ধৃত পাকিস্তানি স্পাইদের বিশ্লেষণে জানা গেছে, অধিকাংশের সরাসরি যোগ ছিল হাই কমিশনের ভিসা বিভাগে। গত ৯ বছরে ছয়জন ভিসা অফিসার আইএসআই-এর জন্য ভারতের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজে লিপ্ত ছিল। তাদের মধ্যে সর্বশেষ আলোচিত ঘটনা হলো, জ্যোতি মেহরোত্রা স্পাই কাণ্ডে পাকিস্তানি ড্যানিশ নামের ভিসা অফিসারের পরিচয়, যিনি আসলে আইএসআই এজেন্ট এহসান উর রহমান।

২০১৬ সালে পাকিস্তান হাই কমিশনে কর্মরত আইএসআই অফিসার মাহমুদ আখ তারকে প্রথম ধরা পড়ে, যিনি ভারতীয় সেনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করতেন। এরপর ২০২০ সালে আরও দুই ভিসা অফিসার, আবিদ হুসেন ও তাহির খান, এবং ২০২১ সালে রানা মোহাম্মদ জিয়া নামে একজন আইএসআই এজেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২২ ও ২০২৪ সালে আরও গুপ্তচরবৃত্তির শৃঙ্খল ভাঙা হয়েছে। এই নেটওয়ার্ক ভিসার ছলফাঁদে সাধারণ ভারতীয়দের ফাঁদে ফেলে মোবাইল সিম সংগ্রহ করত, যা গোয়েন্দাগিরির প্রধান হাতিয়ার ছিল।

ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বারবার সতর্ক করে এসেছে যে, পাকিস্তান হাই কমিশনের বেশ কয়েকজন কর্মী আসলে আইএসআই-এর গোপন এজেন্ট। তারা সাধারণ কর্মী থেকে ভিসা অফিসার, ড্রাইভার বা কালচারাল স্টাফের ছদ্মবেশে ভারতীয় গোপন তথ্য সংগ্রহে নিয়োজিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অর্থলোভ কিংবা বাধ্যবাধকতার কারণে ভারতীয় নাগরিকরাও এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত হয়। এই বিস্তৃত নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে ভারতীয় গোয়েন্দারা তৎপর।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *