মহাকাশ যুদ্ধের দিগন্তে: চীন-আমেরিকার গোল্ডেন ডোম ও ড্রাগন আর্মির লড়াই

মহাকাশ যুদ্ধের দিগন্তে: চীন-আমেরিকার গোল্ডেন ডোম ও ড্রাগন আর্মির লড়াই

মহাকাশ এখন শুধু বিজ্ঞান গবেষণা বা স্যাটেলাইটের ক্ষেত্র নয়, বরং বিশ্বস্তরীয় অস্ত্র প্রতিযোগিতার নতুন ময়দান হয়ে উঠেছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি নিঃশব্দ কিন্তু অত্যন্ত বিপজ্জনক মহাকাশ যুদ্ধের প্রস্তুতি চলছে। আমেরিকার ‘গোল্ডেন ডোম’ — একটি উচ্চ প্রযুক্তির প্রতিরক্ষা সিস্টেম, যা প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে তৈরি হচ্ছে, যার লক্ষ্য হলো লং-রেঞ্জ ও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র থেকে সুরক্ষা দেওয়া। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে ২০২৯ সালের মধ্যে এই সিস্টেম পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে।

অন্যদিকে, চীনের ‘ড্রাগন আর্মি’ দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে আমেরিকার মহাকাশ অবকাঠামোতে আঘাত হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মার্কিন স্পেস কমান্ডের জেনারেল স্টিফেন হোয়াইটিংয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, চীনের কাছে অরবিটাল অ্যান্টি-স্যাটেলাইট অস্ত্র, জ্যামিং সিস্টেম এবং ডিরেক্ট অ্যাসেন্ট মিসাইল রয়েছে, যা আমেরিকার সেনা স্যাটেলাইটগুলোর কার্যক্ষমতা বন্ধ করতে পারে। এছাড়া, চীনের এই মহাকাশ পরিকল্পনায় রাশিয়ারও সমর্থন রয়েছে।

২০২৭ সালে চীনের তাইওয়ান দখলের সম্ভাব্য পরিকল্পনা ও এর প্রভাব মহাকাশ যুদ্ধের আকার নিতে পারে। জেনারেল হোয়াইটিং উল্লেখ করেন, “মহাকাশ যুদ্ধকে রোধের সর্বোত্তম পথ হলো প্রস্তুত থাকা।” যদিও এখন পর্যন্ত মহাকাশে ‘গোল্ডেন ডোম’ বাস্তবায়িত হয়নি, তারপরও প্রযুক্তিগতভাবে চীন এই লড়াইয়ে এগিয়ে। তাই ভবিষ্যতে গোল্ডেন ডোম চালু হলে, আমেরিকা ও চীন মহাকাশে শক্তি সমতার অবস্থানে আসতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *