পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান শশি থারুরের

কংগ্রেস সাংসদ শশি থারুরের নেতৃত্বে একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশ সফর করছে। নিউইয়র্কে ৯/১১ মেমোরিয়ালের বাইরে থারুর বলেন, “এই স্মারক আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আমেরিকার মতো ভারতও সন্ত্রাসবাদের শিকার। আমরা ঐক্যবদ্ধতা ও একটি মিশন নিয়ে এসেছি।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ চাই না, আমরা আমাদের অর্থনীতি ও জনগণকে ২১শ শতাব্দীর জন্য প্রস্তুত করতে চাই। কিন্তু পাকিস্তান ভারত-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল দখলের জন্য সন্ত্রাসবাদ ব্যবহার করছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।”
থারুর ২০১৫ সালের একটি ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, “জানুয়ারি ২০১৫-এ ভারতীয় বিমানঘাঁটিতে হামলার পর আমাদের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীকে তদন্তে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু পাকিস্তানি তদন্তকারীরা এসে বলল, এটি ভারতীয়দেরই কাজ। এটি ছিল তাদের সহযোগিতার শেষ সুযোগ।” তিনি জানান, ২২ এপ্রিল পহেলগাম হামলার পর অপারেশন সিন্দুরের মাধ্যমে ভারত সুনির্দিষ্টভাবে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে।
থারুর বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান, “৯/১১-এর পর আমেরিকা যেমন দৃঢ়তা দেখিয়েছে, তেমনি আমরাও পহেলগাম হামলার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ, অর্থায়ন ও নির্দেশনাদাতাদের শিক্ষা দিতে হবে।” তিনি বলেন, পাকিস্তানে ৫২টি ব্যক্তি ও সংগঠন জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে, কিন্তু এখন কেবল তালিকা তৈরি বা কূটনীতি নয়, ভারত আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করবে। আমেরিকায় ভারতীয় প্রবাসীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা প্রভাবশালী। আপনাদের কণ্ঠস্বর দিয়ে ভারতের চ্যালেঞ্জগুলো বিশ্বের কাছে তুলে ধরুন।”
প্রতিনিধিদলে রয়েছেন শম্ভবী চৌধুরী (লোক জনশক্তি পার্টি), সরফরাজ আহমেদ (ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা), জি এম হরিশ বালায়োগী (তেলুগু দেশম পার্টি), শশাঙ্ক মণি ত্রিপাঠী, তেজস্বী সূর্য, ভুবনেশ্বর কলিতা (বিজেপি), মল্লিকার্জুন দেওড়া (শিবসেনা) এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত তরণজিৎ সিং সন্ধু। এই দল গুয়ানা, পানামা, ব্রাজিল ও কলম্বিয়া সফর করবে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জাতীয় ঐকমত্য ও দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরবে।